আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: ‘নতুন ভিডিও’ পাওয়ার দাবি তদন্ত সংস্থার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ০২:১৭ পিএম

আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: ‘নতুন ভিডিও’ পাওয়ার দাবি তদন্ত সংস্থার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় নিহতদের মরদেহ ভ্যানে স্তূপ করে আগুন দেওয়ার ঘটনার নতুন আরেকটি ভিডিও হাতে পাওয়ার দাবি করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাতে কারা কিভাবে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন সে ব্যাপারে একটি ধারণা এসেছে বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মিজানুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, এখন ওই ভিডিও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্ত সংস্থার এক মাস সময় প্রয়োজন।

সোমবার, ২৮ এপ্রিল সকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নের্তৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৫ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার এদিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল। তদন্ত কাজে নতুন তথ্য হাতে আসায় নতুন করে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়।

ঈদের আগে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি এম তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, এই মামলার তদন্ত কাজ তারা প্রায় শেষ করে এনেছেন। এখন প্রতিবেদন জমার দিন নতুন তথ্য পাওয়ার কথা জানালো তদন্ত সংস্থা।

প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, “তদন্ত পর্যায়ে আমরা একটা ভিডিও উদ্ধার করেছি। সেখানে কারা কিভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে তা দেখা যাচ্ছে। তদন্ত পর্যায়ে নতুন কোন তথ্য-উপাত্ত আসলে এটাকে অবহেলা করার সুযোগ নাই। বিচার বিলম্বিত নয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই সময় নেওয়া হয়েছে।”

এই মামলায় গত ১৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে।

তারা হলেন-সাবেক এডিসি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ হিল কাফি এবং ওসি আরাফাত হোসেন।

আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।

দুজনের পরিবারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান অভিযোগ দুটি দায়ের করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, সাত আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা “আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে।”

সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, বেক্সিমকো লিমিটেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মনতাজউদ্দিন মণ্ডল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি সাবের আহমেদ সজীব এবং আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেনের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।

Link copied!