আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী সাইদার মালিথাকে (৫৫) হত্যা মামলায় নয়জনকে মৃত্যু ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সাতজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা, তার ভাই স্বপন মালিথা, রিপন মালিথা, আশিক মালিথা, রাকিব মালিথা, আরাফাত হোসেন ইসতি, মো. রঞ্জু, মো. জনি ও আলিফ মালিথা।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- দুলাল মালিথা, মো. রাজু, হায়দার মালিথা, সঞ্জু মালিথা ও বেলাল হোসেন উজ্জ্বল। আসামিরা সবাই পাবনার বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত না থাকায় আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়নি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বেশির ভাগই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন মালিথার আত্মীয়। বাকিরা ভাড়াটে খুনি। হত্যার শিকার সাইদার মালিথা ও আসামি আলাউদ্দিন মালিথা সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাই। সাইদার মালিথা পাবনার সদর উপজেলার চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। আলাউদ্দিন মালিথার কাছে ৩০ লাখ টাকা পেতেন তিনি। এই টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে সাইদারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পাবনা সদরের হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা। এ সময় তার বুকে গুলি করা হলে প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড় দেন তিনি। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। তাকে ধরে নজুর মোড়ে এনে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিচার চেয়ে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।