বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুল কাদেরসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৪৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার ( ১০ নভেম্বর ) তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হলে আদালত ৪২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাকি তিনজনকে আদালত বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।
এ নিয়ে (২৮ অক্টোবর ) থেকে ( ১০ নভেম্বর ) পর্যন্ত ঢাকায় ২ হাজার ৫৬১ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে বা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক মামলায় যুবদলের সহসভাপতি রেজাউল কবিরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) বেলা তিনটা থেকে (১০ নভেম্বর) বেলা তিনটা পর্যন্ত গেন্ডারিয়া থানার একজন, খিলক্ষেত থানার একজন, নিউমার্কেট থানার একজন, রমনা থানার তিনজন, পল্লবী থানার চারজন, কোতোয়ালি থানার দুজন, কদমতলী থানার একজন, শ্যামপুর থানার একজন, উত্তরা পূর্ব থানার দুজন, হাজারীবাগ থানার দুজন, মুগদা থানার একজন, খিলগাঁও থানার দুজন, পল্টন থানার চারজন, শাহজাহানপুর থানার পাঁচজন, রামপুরা থানার তিনজন, সবুজবাগ থানার তিনজন, হাতিরঝিল থানার চারজন, মোহাম্মদপুর থানার একজন ও মিরপুর থানার তিনজন বিএনপির নেতা–কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে আট দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল পারভেজ ও সদস্য গোলাম কিবরিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে ২ নভেম্বর বিএনপির নেতা আমিনুলসহ এ তিনজনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
খিলক্ষেত এলাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামসহ ২৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মামলা হয়েছে। ৭ নভেম্বর এ মামলা করা হয়। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
