শেখ হাসিনা-খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২১, ২০২৪, ০২:২৬ পিএম

শেখ হাসিনা-খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলির ঘটনায় রংপুর কেমিক্যাল লিমিটেডের অফিস সহকারী ফিরোজ তালুকদার ওরফে পলাশ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের স্ত্রী রেশমা সুলতানা। বাদীর জবানবন্দী নেওয়ার পর মিরপুর মডেল থানার পুলিশকে এই অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোরাদ হাসান সেলিম।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও র‌্যাব-পুলিশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকেও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য সব আইনজীবী তথা এমিকাস কিউরিদের মত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। তার জাজমেন্ট আদালতের আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে দেশে অঘোষিত স্বৈরতন্ত্র কায়েমপূর্বক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের যথেচ্ছভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আসামিরা যেনতেনভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে জালভোট, মৃত ব্যক্তির ভোট নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় গণ মানুষের স্বাভাবিক উপস্থিতি ব্যতীত কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন ও বাক্-স্বাধীনতা খর্বসহ খুন, গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নিষ্পেষণ অব্যাহত রাখে।

এরপর কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। তারা হত্যা, গুম, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে দমন-পীড়ন করলে আন্দোলনকারীরা সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে তাদের পাশে সার্বিক অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সুবিধাভোগী প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নির্দেশে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ কয়েকজ বিপথগামী সদস্য, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা দেশব্যাপী আন্দোলন দমনের জন্য ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকে।

১৯ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফিরোজ তালুকদার মিরপুর-১০ গোলচত্বর পার হওয়ার সময় র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Link copied!