অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাজিরার নির্দেশ দেয়া হয়।
আগামীকাল বুধ ও বৃহস্পতিবার তাদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
এতে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসানসহ পাঁচ পরিচালকও।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের বেশিরভাগ লেনদেনই সন্দেহজনক। শুধু তাই নয়, আইএলওতে দেয়া শ্রমিকদের অর্থপাচারের অভিযোগেরও তদন্ত চায় সংস্থাটি।
ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিতের অভিযোগ এনে গ্রামীণ টেলিকম ও এর প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১০টি মামলা করেন তারই অধীনস্ত শ্রমিকরা। সম্প্রতি ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা ৪৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করে আবারও আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা প্রত্যাহারের আবেদন। এর পরই প্রশ্ন ওঠে, মামলার রফা-দফার প্রক্রিয়া নিয়ে।