ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ০১:২৬ পিএম
২০২৩ সালের শেষ দিন আজ। বছর শেষে হিসাবনিকাশে দেখা গেল বছরজুড়ে সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৯৬ জন, গণপিটুনিতে ৭৩ জন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে ৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
রবিবার হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস’র তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এইচআরএসএস জানায়, এ বছর উদ্বেগজনকভাবে রাজনৈতিক সহিংসতার ৯৩৩টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৬ জন ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ হাজার ২৫৮ জন। যার অধিকাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল, নির্বাচনী সহিংসতা এবং বিএনপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পাল্টা শান্তি সমাবেশ-কেন্দ্রিক সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তাছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দ্বারা ৮ হাজার ৫৫৬ জন রাজনৈতিক কর্মী গ্রেপ্তারের শিকার হন, তাদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ৮ হাজার ২৭৭ জন। একই সময়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৪৫৬টি মামলায় ১৪ হাজার ৪০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫৮ হাজার ৯৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।
এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বিরোধী দলীয় কমপক্ষে ৬২৮টি সভা-সমাবেশ আয়োজনে বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ হাজার ৩৯১ জন আহত এবং সমাবেশ-কেন্দ্রিক ৬ হাজার ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়াও, নির্বাচনী সহিংসতার ২৫৬টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ হাজার ৪৩৯ জন। শুধু ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনী সহিংসতার ১৮৭টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯০২ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর ১৯৪টি হামলার ঘটনায় হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৩৬৭ জন সাংবাদিক। ২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৮৬ জন, লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৮৬ জন, হুমকির শিকার হয়েছেন ২৬ জন, গ্রেপ্তার ১১ জন ও ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে আশঙ্কাজনকভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা ৫৮টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬০ জন এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে ১৮৮ জনকে।
এ ছাড়া, ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের ওপর ২৭টি হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৩ জন এবং ১৭টি মন্দির, ৩১টি প্রতিমা ও ২৫টি বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মার্চ মাসে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় ১ জন নিহত ও অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১০১টি বাড়ি ও ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এইচআরএসএস জানায়, ‘গণপিটুনির’ ১১৩টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৮ জন। এ সময়ে ১৯৮টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ৩ জনসহ নিহত হয়েছেন ৪০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৫০ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৪৮ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন।
এ সময়ে ২৪টি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ৫৮টি হামলার ঘটনায় ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ৩১ জন আহত ও ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময়ে ভারতীয় সীমান্তে আরও ৯ জন বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিচারবহিরর্ভূত হত্যাকাণ্ডের ৩১টি ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন। যাদের মধ্যে ৭ জন তথাকথিত ক্রসফায়ার-বন্দুকযুদ্ধের নামে, ৭ জন নির্যাতনে এবং ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় ৫ জন মারা গেছেন। এ ছাড়াও, কারা হেফাজতে ৮৪ জন মারা গেছেন। শুধু ডিসেম্বর মাসেই কারা হেফাজতে ১৫ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ৮ জন।
এতে বলা হয়, এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে কমপক্ষে ৩১ জনকে, যাদের অন্তত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে সোপর্দ কিংবা তাদের পরিবারকে আটকের বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। ১৯ জনকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার দেখানো এবং ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ৬ জনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়াও, ২৪ ঘণ্টায় নিম্ন আদালতে সোপর্দ এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবারকে জানানোর বিষয়ে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকলেও অন্তত ১৬ জনকে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৬ জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও বাকি ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এইচআরএসএস জানায়, ২০২৩ সালে ২ হাজার ৩৬১ জন নারী ও কন্যা শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৯০টি, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ৫৫৭ জন (৫৬ শতাংশ) ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।
এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ১৯২ জন (১৯ শতাংশ) নারী ও শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪৩ জনকে, যাদের মধ্যে শিশু ২৮ জন এবং ৯ জন নারী ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন। ৭০২ জন নারী ও শিশুকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশু ৩৯৪ জন।
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭৩ জন নারী এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৬৩ জনকে ও আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন। পারিবারিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ২৯৯ জন, আহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১১৮ জন নারী। এসিড সহিংসতায় আহত হয়েছেন ৯ জন নারী, যাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, ২ হাজার ১৭৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১ হাজার ৬৫২ জন শিশুকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
এইচআরএসএস বলছে, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর উৎযাপন করলেও বাংলাদেশের মানুষ এখনো স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শব্দগুলো ২০২৩ সালেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই উদ্বেগজনক। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বর্তমান সরকারের অধীনে অনেক ইতিবাচক অর্জন সত্ত্বেও, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের অধিকার, এবং সামাজিক নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনে যেখানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি সেখানে বিরোধীদল বিহীন ২০২৪ সালে আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন চলছে।
সংস্থাটি জানায়, চলতি বছরের পুরোটা জুড়েই দেশে নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা গেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার, রাজনৈতিক গ্রেপ্তার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেআইনি ও বর্বর আচরণের ঘটনাগুলো দেশের মানুষকে উদ্বিগ্ন করছে। উল্লেখযোগ্যভাবে সাংবাদিকরা হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়েছেন। সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশিরা ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) হাতে হত্যা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নৈরাজ্য এবং সংঘাত লক্ষ করা গেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনকে লক্ষ্য করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়েছে। বিরোধী সভা-সমাবেশে বাধা দিতে সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টা, তল্লাশি, মোবাইল ফোন অনুসন্ধান এবং গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভিন্নমতকে দমন করার একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
২৮ অক্টোবর বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ ও পরবর্তী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার ফলে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, পরিবহন কর্মী, সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মীসহ অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটে। এর সঙ্গে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাবছর জুড়েই অসংখ্য মামলা এবং গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে, যা বিরোধীদের কণ্ঠকে দমন করার প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিশেষ প্রয়োগ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আরও ক্ষুণ্ণ করেছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মানবাধিকার সংগঠক অধিকার’র সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান ও নির্বাহী পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ এর অধীনে গ্রেপ্তার ও সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই সাজা প্রদানের ঘটনার মধ্যে দিয়ে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আরও বেশি সংকুচিত করেছে এবং জনমনে আরও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও, বছরের শেষ দিকে এসে গুপ্ত হামলা, গণগ্রেপ্তার, নির্বাচন-তফসিল পরবর্তী সহিংসতা, বিরোধী নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও পরিবারের কাছ থেকে অর্থ চাঁদাবাজিসহ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করা গেছে।
এইচআরএসএস জানায়, রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং মৃত ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিচারকার্য বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যাপকতা এবং শাসক দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আচরণের মিল উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দমনমূলক ব্যবস্থাগুলো উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার ফলে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বিরোধী আন্দোলনের ওপর নির্যাতন বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যায্য মজুরির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন মানবাধিকার সংকটের ক্ষেত্রে আরেকটি মাত্রা যুক্ত করেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলো, শ্রমিকদের আন্দোলন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারদলীয় কর্মীদের দ্বারা দমনের সম্মুখীন হয়। যেখানে ব্যাপক হতাহত এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এইচআরএসএস জানায়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে বিরোধী দলসমূহের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে।
এইচআরএসএসের পক্ষ থেকে সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সব সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।