গাজীপুরে আবারও শ্রমিকবিক্ষোভ, ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৭:১২ এএম

গাজীপুরে আবারও শ্রমিকবিক্ষোভ, ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা

শ্রমিকেরা পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের সাথে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন, চান্দনা ও ভোগরা এলাকায় ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার আশুলিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। চলমান শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে এ দিন অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক কারখানা আবার খোলা থাকলেও সেখানে কাজ করেননি শ্রমিকেরা। তারা কর্মস্থল থেকে বেরিয়ে গেছেন।

গত ২৩ অক্টোবর থেকে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শিল্প ও থানা-পুলিশ শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর কিছু সময় পর নাওজোড় এলাকায় শ্রমিকেরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তাঁরা টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তার ওপর কাঠ ও বাঁশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাসন থানার পুলিশ, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশ। তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি  ধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট মহাসড়কে ধরিয়ে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া নাওজোড় থেকে ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় সড়কে শ্রমিকেরা বিভিন্ন কারখানায় ঢিল ছুড়ে ভাঙচুর করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে নাওজোড়সহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা ভাঙচুর করেন। আগুন ধরিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বেশ কয়েকটি কারখানা গত বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। অনেক কারখানার কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা কারখানার শ্রমিকেরা বৃহস্পতিবার সকালে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। এরপর শ্রমিকেরা বিভিন্ন অলিতে-গলিতে ঢুকে পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

Link copied!