হাইকোর্টের আদেশ

‘ইউনূসকে বিদেশে যেতে হলে আদালতকে জানিয়ে যেতে হবে’

জাতীয় ডেস্ক

মার্চ ১৮, ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম

‘ইউনূসকে বিদেশে যেতে হলে আদালতকে জানিয়ে যেতে হবে’

ড. মুহম্মদ ইউনূস। ছবি: ফাইল ছবি

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশে যেতে হলে আদালতকে জানিয়ে যেতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৮ মার্চ) শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬ মাসে সাজার রায় ও আদেশ স্থগিতের আদেশ অবৈধ বলে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

শুনানি চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট জানতে চান, কোনো বিদেশি কূটনীতিক যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার নিয়ে মন্তব্য করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায় আছে কিনা। জবাবে কলকারখানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টকে আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে পিটাস হাস যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন, তা আদালত অবমাননার শামিল। আমি তাকে আদালতে হাজির করার জন্য বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাচ্ছিনা। তবে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। তারপরও বিষয়টি কোর্টের ওপর ছেড়ে দিলাম।’

এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন হাইকোর্টকে বলেন, ‘বাদীপক্ষের আইনজীবী কোর্টের মাথায় লবণ রেখে বরই খেতে চান। পিটার হাসের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নিতে হয়, তাহলে জাতিসংঘ, শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিক যারা ইউনূসের মামলা নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন, তাদেরকেও এ মামলায় আনতে হবে। আর এটা করলে কী হবে, তা সবাই জানে। বাদীপক্ষের আইনজীবী কোনো রকম ট্রেনিং ছাড়াই মামলা পরিচালনা করছে, এতে সরকার ও আদালত সবারই ক্ষতি করছে।’

Link copied!