বেটা
মে ৩০, ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
বৈধ ব্যবসা এবং অন্যান্য পেশার আশ্রয় নিয়ে অর্থ-সম্পত্তি অর্জনের অনেক উপায় রয়েছে। তবে অর্থ উপার্জনের জন্য রাজনীতি কোনো পেশার আওতায় আসতে পারে না। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার একটি মামলার রায়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপির আহবায়ক আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাজার বিরুদ্ধে ওই আপিলের রায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই পর্যবেক্ষণ দেন।
ওই রায়ে আমানুল্লাহ আমানের ১৩ বছর, তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছর ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজনীতিবিদরা জনগণ ও দেশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার লক্ষ্যে রাজনীতিতে জড়িত হন এবং রাজনীতি জনগণ ও দেশের কল্যাণে এক ধরনের মহান ত্যাগ-নিষ্ঠার কাজ। তাই রাজনীতিবিদরা জনগণের সম্পদের রক্ষক হবেন, তারা ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন না।
দুর্নীতি সব লিঙ্গ, বয়স এবং বর্ণের মানুষকে প্রভাবিত করে উল্লেখ করে ওই মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, এটি দরিদ্র এবং দুর্বল গোষ্ঠীকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করে। দেশের জনগণ বিশেষ করে দায়িত্বশীল স্টেকহোল্ডারদের একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত যে, তারা কেবল দুর্নীতির শিকারই নন, এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের মূল খেলোয়াড়ও।
বিশ্বে পরিবর্তন আনতে চান এবং বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান তাহলে এর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণে আদালত আরও বলেন, আপনি যদি দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি হিসাব দেওয়ার দায়িত্ব থাকতে হবে। আইনের বিধান অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। ছেলেবেলা ও বাল্যকাল থেকেই শিশুদের সততা এবং অসততার মধ্যে পার্থক্য করতে শেখানো উচিত বলে মন্তব্য করেন আদালত।
-20240503123538.jpg)
