অর্পিত সম্পত্তি ডিসির অধীনে থাকবে, মামলা চলবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে: হাইকোর্ট

আদালত প্রতিবেদক

জুন ৮, ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম

অর্পিত সম্পত্তি ডিসির অধীনে থাকবে, মামলা চলবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে: হাইকোর্ট

এখন থেকে অর্পিত সম্পত্তি  নিয়ে সব মামলা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে। অন্য কোনো আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলবে না এই অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ এবং ১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়ে এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত রায়ে বলেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ এবং ১৪ ধারা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নয়। অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন।

আদালত রায়ে আরও বলেন, এখন থেকে অর্পিত সম্পত্তি মামলা অন্য কোনো আদালতে নয়, শুধুমাত্র বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চলবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে যারা পালিয়ে ভারতে চলে যায়, তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার। পরে ওইসব সম্পত্তিকে অর্পিত সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আইন প্রণয়ন করে। প্রকৃত মালিকদের জমি ফেরত দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারের করা এই আইনটি ২০০২ সাল থেকে কার্যকর হয়। তবে কার্যকরের আগেই  অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে লাখ লাখ মামলা দায়ের হয়।

গেজেট হওয়ার আগেই ২০১২ সালে চট্টগ্রামের দুই ব্যক্তি তাদের অর্পিত সম্পত্তি বিচারাধীন ছিল দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারে কি না, তা নিয়েও একটি রিট দায়ের করা হয়। তবে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। সেই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের আগে হওয়া অর্পিত সম্পত্তির লাখ লাখ মামলা বাতিল করে দেন। ফলে বলবৎ হয় ২০১২ সালের আইনটি।

এ রায়ের পর ফলে জেলা প্রশাসকদের অর্পিত সম্পত্তি লিজ দেয়ার আইনও বহাল থাকলো। তবে এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক।

Link copied!