গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে এক ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলা হয়। হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হিরো আলমকে ডেকেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ৩টায় ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন হিরো আলম।
ডিবি প্রধান বলেছেন, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করার জন্য তাকে ডিবি কার্যালয় ডাকা হয়েছে।
ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) একতারা প্রতীকে পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
এর আগে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় পেছন থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকেন নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান।
স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরোনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না। স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা বনানী ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগোতে থাকেন হিরো আলম। একপর্যায়ে নৌকার ব্যাজধারীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। তখন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁরা।
হিরো আলমের সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে সামনের দিকে নিয়ে যান। তবে তারপরও অনেক দূর পর্যন্ত হিরো আলমকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন হামলাকারীরা। এ সময় তাঁদের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘সে (হিরো আলম) করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়। এমপির মানে সে জানে?’ কেউ কেউ আবার বলছিলেন, ‘তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।’