অতিরিক্ত ওজন যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর তেমনি প্রয়োজনের চেয়ে কম ওজনও ক্ষতিকর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে বেশিরভাগ মানুষই জেনে গেছেন ওজন বেশি থাকলে করোনাকালে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু সেই কাজ যেন ডেকে না আনে নতুন বিপদ, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু জিনিসের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। যেমন প্রোটিনযুক্ত খাবার বন্ধ করার মানে হয় না। অনেকেই হয়তো মনে করেন বা অনেকেরই ধারণা থাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে। কিন্তু এ কথা ভিত্তিহীন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। বরং খাবারে প্রোটিন যথেষ্ট থাকলে ভাল। তাতে ক্যালোরির চাহিদা কমে। শরীরে শক্তিও জোগায়। তা ছাড়া, করোনার চিকিৎসায় বারবার করে বলা হচ্ছে খাদ্যে প্রোটিন থাকা জরুরি।
এর চেয়েও বিপজ্জনক একটি অভ্যাস দেখা যায়। সেটা হলো ওজন কমাতে প্রোটিনযুক্ত খাবার একেবারেই না খাওয়া। ওজন কমাতে দিনের কোনও একটা গুরুত্বপূর্ণ খাবার বাদ দেওয়া হল। সকাল বা দুপুর বা রাত। কিন্তু এ কাজ একেবারেই ঠিক নয়। খালি পেটে থাকলে রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা কম থাকে শরীরে। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ে। কম খাওয়া এক কথা, না খাওয়া আর এক। পেট খালি না রেখে বারবার অল্প অল্প করে খাওয়া দরকার। দুধ, দই, ফল— এ সব তো খাওয়া যায় কাজের ফাঁকে।
এই গোত্রের আর একটি ভুল হল কম ঘুম। ঘুমের সময় কমিয়ে কসরত করে কারও চেহারা ঠিক রাখার চেষ্টা আসলে বিপদ ডেকে আনে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রাতে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুম দরকার। তা না হলে শুধু ব্যায়াম করে বা খাওয়া কমিয়ে কোনও লাভ হয় না। শরীর দুর্বল হয় মাত্র। করোনার সময়ে যা বিপজ্জনক হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার