স্বামীর কোনো কাজের প্রশংসা করতে চাইলে আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন। সুতরাং কারো স্বামী যদি কোনো কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তাকে উৎসাহ দিতে আজকের দিনটি ভালো উপলক্ষ হতে পারে।
যদিও ‘স্বামী প্রশংসা’র দিবসের উৎস অস্পষ্ট। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই ছুটির সূচনা ফাদার্স ডে-এর প্রতিরূপ হিসেবে হয়েছিল। যা জুনের তৃতীয় রোববার পড়ে — যাতে কোনো সন্তানহীন স্বামীরাও স্বীকৃতি বোধ করতে পারে। ‘স্বামী সমাদর’ দিবস হলো যাই হোক না কেন সব স্বামীর প্রশংসা করার দিন।
স্বামীর জন্য আজকের দিনে তাকে কোনো উপহার দিতে পারেন। তার পছন্দের কোনো খাবার রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
অতীতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে স্বামীদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। নারীরা ঘরের কাজ সামলাতো আর পুরুষেরা প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করতে প্রতিদিন ঘরের বাইরে কাজে বের হতো। তবে বর্তমানে অনেক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সংসারের জন্য উপার্জন করছেন। বেশিরভাগ পরিবারেই এখন নারী ও পুরুষ কর্মক্ষম। তাই বলে একে অপরের অবদান স্বীকার করবেন না, এমন তো নয়। বরং একে অপরের অবদানের প্রশংসা করাই সুখী দাম্পত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সবশেষে আরেকটি তথ্য - মাস কয়েক পরই আসছে ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ অর্থাৎ স্ত্রী সমাদর দিবস। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় শনিবারে এই দিবস। ফলে স্ত্রী সমাদরের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখতে পারেন দায়িত্বশীল স্বামীরা।