শুনলে অবাক হওয়ার কিছু নেই , আমরা জানি আউটডোর গেমের ক্ষেত্রে শরীরকে একটু ওয়ার্ম আপ করে নিতে হয়, কিন্তু দীর্ঘ সময় পড়াশোনার আগেও মস্তিষ্কের ওয়ার্ম আপ দরকার।
মস্তিষ্ককে পড়াশোনার জন্য ওয়ার্ম আপ করা যায় যেভাবে-
তৈরি করতে হবে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ
তৈরি করতে হবে আরামদায়ক ও ডেডিকেটেড আবহাওয়া সম্মিলিত পড়াশোনার পরিবেশ, সাথে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা , চোখে না দেখলে আরামে পড়বেন কী করে।
পড়াশোনা আর আনন্দ পরস্পর যে একে অপরের কত কাছের সেটা যে একবার বুঝেছে বোধকরি তারাই কবি সাহিত্যিক পদে পৃথিবীতে নিজেদের ফুটপ্রিন্ট রেখে গিয়েছে। হয় নীরবে না হয় সরবে।
তাহলে পড়াশোনায় ওয়ার্ম আপ বলতে টেবিল চেয়ার গুছানো, ভালো লাইটিং তাছাড়াও টেবিল গুছাতে পারেন সুন্দর গাছ দিয়ে। গুছানো পরিবেশ পড়ায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
রুটিন সেট করা
পড়ালেখার জন্য একটা রুটিন ফলো করা, যা শুধু পড়ালেখা করায় নয় বরং সাহায্য করবে আপনাকে স্থির থাকতে। এটি ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, যেমন আজকে কিছু একটা পড়লেন, যতক্ষণ পড়লেন ভালোও লাগল, কিন্তু পড়ে আবার পড়লেন এক সপ্তাহ পরে এবং আপনাকে আবার কষ্ট করে মনোযোগ দিতে হলো।
কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই কিন্তু পড়ে আরাম পাওয়া যায়। তাই রুটিন বা নিয়মিত একটা শিডিউল ফলো করলে মস্তিষ্ক থাকবে আগে থেকে প্রস্তুত।
ব্রেইন ওয়ার্ম আপ
যে বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করছেন আপনি সে বিষয়ে কিছু হালকা প্রবলেম সল্ভ করা বা আগের দিনের নোটে চোখ বুলিয়ে নেয়া।
হালকা কিছু ব্রেইন এক্সারসাইজ , যেমন ছোটবেলায় আমরা ইংরেজিতে পরীক্ষা দিতাম , একটা লাইনে একটা শব্দের অভাব ওই ড্যাশ পূরণ করাও কিন্তু এক ধরনের ব্রেইন এক্সারসাইজ ।
হাইড্রেটেড থাকা
পড়তে বসার আগে সুন্দর করে শ্বাস নিন, কিছুটা হালকা অনুভব করতে দিন নিজেকে, সাথে ভালো পুষ্টিগুণ সম্বৃদ্ধ নাস্তা করে নিন, সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেয়ে নেন। কারণ ডিহাইড্রেশন ও ক্ষুধার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পড়াশোনায়। তাই ক্ষুধা তৃষ্ণা নিবারণ করে একেবারে পড়তে বসা উচিত।
নিজের ব্রেইনের সাথে যোগাযোগ ভালো রাখার জুড়ি নেই। জীবনের বাঁচতে হলে বাড়াতে হবে ব্রেইনের সাথে সম্পর্ক। বলতে পারেন সম্পর্ক ছাড়া কিভাবে বেঁচে আছি? অবশ্যই বেঁচে আছেন, তা নিয়ে নেই কোন সন্দেহ, কিন্তু নড়বড়ে ব্রেইন থাকলে, এটা বোঝা প্রায় অসম্ভব যে আপনার৷ ব্রেইন আটকে আছে।
এত কাছের বন্ধু আর একটাও নেই আপনার পাশে, তাই ব্রেইনের যত্ন নিন , আর যুক্ত রাখুন এমন সব কাজের সাথে যেমন কোন কিছুর সারাংশ বানানো, নিজের সাথে নিজের শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি ও নিজেকে শেখায়।