শরতের কাশফুল, শিউলির আবছা গন্ধ আর পদ্মের কুঁড়ি যেন এক আগমনীর নির্দেশ দেয়। বলছি সেই দুর্গা আগমনী মহালয়ার গল্প। এ বছর দুর্গা আসবেন ঘোটক চড়ে, অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। পঞ্জিকা অনুযায়ী ঘোটকে আসা অর্থ কোনো বিপদ সংকেত। সেই বিপদ নাশ করতেই আসছেন তিনি । তাইতো প্রতিমা গড়তে চলছে এতো তোড়জোড় ।
মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে সম্ভব হয় প্রতিমা গড়া । তাই বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হতে থাকে দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ। প্রতিমা গড়তে ব্যবহৃত হয় দোআঁশ, এঁটেল মাটি। মাটির বিষয়ে রমনা কালী মন্দিরের রতন পাল বলেন, নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই মাটি সংগ্রহ করেন তারা।
তবে প্রতিমা গড়ার ব্যাপারে অনেকেই কিছু রীতি বিশ্বাস করে থাকেন। পতিতালয়ের পূণ্যরূপ মাটি ব্যবহার, যা এই বাঙালি সংস্কৃতি বা শাস্ত্রে কখনোই ছিল না, এ বিষয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত নীতিন চক্রবর্তী বলেন, মহাস্নানে ব্যবহৃত হয় এই মাটি।
রমনা কালী মন্দিরের পুরোহিত কানাই লাল চক্রবর্তী বিশ্বাস রাখেন, পতিতালয়কে নারীর সম্মানার্থে রেখে প্রচলিত হয় এই রীতি।
সনাতনী বিশ্বাসে দুর্গা প্রতিমার নয় রূপকে নিয়ে হয় এই দুর্গাপূজা। পূজায় মহাস্নানে ব্যবহৃত হয় ১০৮ রকমের দ্রব্যাদি। এর মধ্যে উল্লেখ আছে পতিতালয়ের মাটি । কিন্তু মূর্তি গড়ার কাজে নয় বরং এই বিশেষ মাটি শুদ্ধ করতেই ব্যবহৃত হয় পূজায়।