বেটা
সংগৃহীত ছবি
কথায় আছে ‘সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে’। তবে এই প্রবাদ এখন পুরোপুরি মানা হয় না। কারণ সংসার স্বামী-স্ত্রী দুজনের সমান গুণেই সুন্দর হয়। দুজনের সমান ত্যাগ, ইচ্ছা আর ভালোবাসা দিয়েই সাজাতে হয় সংসার। তবে পরিবার আগলে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন একজন স্ত্রী। তিনি দুই হাতে সামলে রাখেন স্বামী, সংসার, সন্তান। বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীরা পরিবারের সকল দায়িত্ব বেশি পালন করে।
যেহেতু একজন স্ত্রী একটি পরিবার সামলে রাখেন, তাই তিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। সেজন্য আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন স্ত্রীর প্রতি। কারণ, আজ স্ত্রীর প্রশংসা দিবস। ইংরেজিতে বলে “ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে”।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রবিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর প্রশংসা দিবস উদযাপিত হয়। ২০০৬ সালে দেশটিতে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। তবে, দিবসটি নিয়ে খুব বেশি তথ্য জানা না গেলেও মনে করা হয়, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের সম্মান জানানোর জন্য উদযাপন করা হয়।
আপনার বিয়ের বয়স এক বছর, দশ বছর বা ৫০ বছর- যাই হোক না কেন, অবশ্যই স্ত্রীর প্রশংসা করা উচিত। স্ত্রীকে একটু প্রশংসা করলেই তারা অনেক খুশি হয়ে যায়। তাহলে তিনিও বুঝতে পারবেন তিনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য কিছু পুরুষের কাছে এটি স্বাভাবিক মনে হলেও, কারো জন্য আবার খুব কঠিন হতে পারে।
দিবসটি উদযাপনের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, আপনার স্ত্রীর হাতে সুন্দর একটি ফুলের তোড়া তুলে দিতে পারেন। চাইলে তাকে কোনো রেস্টুরেন্টে নিয়ে খেতে পারেন। কিংবা তাকে কোনো নতুন নকশার গয়না উপহার দিতে পারেন।
একজন স্ত্রীকে প্রশংসা করলে সে যেমন খুশি হয়,সেই সাথে পরিবারের দায়িত্ব পালনে আগ্রহও অনেক গুণে বেড়ে যায় তার। তাই একটু প্রশংসা পরিবারকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
