ভুট্টার গুঁড়োকে আমরা সাধারণভাবে কর্নফ্লাওয়ার বলে থাকি। কর্নফ্লাওয়ার ভুট্টার সম্পূর্ণ শাঁস থেকে নেয়া হয়, যাতে ফাইবার, প্রোটিন, স্টার্চসহ, ভুট্টার যাবতীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। রান্নাঘরের অতি পরিচিত একটি সামগ্রী হল কর্নফ্লাওয়ার। নানা ধরনের মুখরোচক রান্না বিশেষ করে চায়নিজ খাবার তৈরি করতে এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু রান্নার কাজে বা খাবার মুচমুচে করার ক্ষেত্রে নয় যে কোন ছোট খাটো সমস্যার সমাধান নিমিষেই করে দিতে পারে কর্নফ্লাওয়ার। এতে ২২ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম প্রোটিনে মোট ১১০ ক্যালরি উপস্থিত। এছাড়া ২৯ গ্রামের মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার এবং ১.৫ গ্রাম ফ্যাট ও এতে থাকে।
পকোড়া মুচমুচে করতেই হোক বা রান্নার গ্রেভি ঘন করতে, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে হেঁশেলের অনেক মুশকিল আসান হয়। কিন্তু শুধু রান্নায় নয়, হেঁশেলের এই উপকরণটি কিন্তু আরও অনেক কাজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্না ছাড়া কর্নফ্লাওয়ার আর কোন কোন কাজে লাগতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের স্বাস্থ্য বিষয়ক এক প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।
১. জানালার কাচ ময়লা হয়েছে? ময়লা কাচে খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার লাগিয়ে নিন। তার পরে ভেজা কাপড় দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। কাচ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২. গয়নার হার বা দড়িতে গিঁট পড়ে গিয়েছে? সেটা ছাড়াতে পারছেন না? সেটিকে কর্নফ্লাওয়ার আর জলের মিশ্রণে চুবিয়ে রেখে দিন খানিক ক্ষণ। এ বার সেই গিঁট খোলার চেষ্টা করুন। অতি সহজে খুলে ফেলতে পারবেন।
৩. চুলের জট ছাড়াতে অনেক সময় নাজেহাল হতে হয়। যেখানে জট পড়েছে, সেখানে খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার লাগিয়ে মোটা দাড়ের চিরুনী দিয়ে ভাল করে আছড়ে নিন। শ্যাম্পু করারও দরকার পড়বে না, জট খুলে যাবে।
৪. পোকা কামড়েছে? বা রোদে বেরিয়ে ত্বক জ্বালা করছে? কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে সেই জায়গায় লাগিয়ে নিন। প্রদাহ কমবে।
৫. নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোস্কা পড়বেই। সে ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণ। সেটি ফোস্কার উপরে লাগিয়ে নিন। তার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দ্রুত কমে যাবে ফোস্কা।
৬. তেলাপোকার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় কমবেশি সকলকেই ।এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সমান পরিমাণের কর্ণফ্লাওয়ার ও প্লাস্টার অফ প্যারিস এক সাথে মিশিয়ে নিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিয়ে তেলাপোকার লুকোনোর জায়গা গুলিতে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে রাখলে পোকার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।