চুম্বনেই রয়েছে শরীর সুস্থ থাকার যাবতীয় উপকার!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

জুন ১, ২০২৩, ০৯:৫৮ এএম

চুম্বনেই রয়েছে শরীর সুস্থ থাকার যাবতীয় উপকার!

সঙ্গীকে বা ভালবাসার মানুষকে চুমু খান। চুমু খাওয়ার মতো মিষ্টি অনুভূতি খুব কমই হয়। ভালোবাসার প্রকাশের পাশাপাশি দু’জন মানুষের পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ প্রকাশ হল চুম্বন। আর এই ঠোঁটে চুম্বন করলেই মেলে শারীরিক নানা উপকার।

চুমু শব্দটি শুনলেই অনেক দৃশ্য ভেসে উঠতে পারে। বলিউড অভিনেতা ইমরান হাসমির সিনেমা গুলোর চুমুর দৃশ্য, নির্জন স্থানে প্রেমিক প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে প্রেম করার দৃশ্য, টাইটানিক সিনেমার রোজ-জ্যাকের চুম্বনসহ অনেক দৃশ্যই ভেসে ওঠে।  অঅর দৃশ্যগুলো দেখতে দেখতে আমাদের কামনা বাসনার হরমোন গুলো সক্রিয় হয়ে উঠে। আমাদের সব ভবন চিন্তা ভোগ বিলাসে ডুবে যায়। কিন্তু চুমুর মাহাত্ম্য যে আরো বেশি সেটা অনেকেই জানে না।

লাইব্রেট ডট কম নামে ভারতের স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হায়দরাবাদের মনোবিজ্ঞানী ভেনকাতরাজু কালিদিন্দি জানিয়েছেন, চুমু খেলে একাধিক জটিল রোগের প্রকোপ কমে।

মনোবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, চুমুতে রয়েছে ক্যালোরি পোড়ানোর আশ্বর্যজনক ক্ষমতা। চুম্বন শরীরের বিপাকের হার স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি সঙ্গীকে এক মিনিটের বেশি চুম্বন করেন তাহলে আপনার ২৫ ক্যালোরি পুড়বে।  

গবেষণায় দেখা গেছে, যে দম্পতিরা প্রায়শই পরস্পরকে চুমু খান এবং যাদের চুম্বনের স্থায়ীত্ব বেশি তাদের সম্পর্ক আরও ভাল হতে পারে। চুমু খেলে দুই ব্যক্তির মধ্যে ভালবাসার সংযোগ বাড়ায়। এটি সঙ্গীদের একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে তাদের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধন তৈরিতে সহায়তা করে। 

শুদু তাই নয়, ভালোবাসার মানুষকে রোজ চুমু খেলে মন ভালো থাকে। নান ধরণের স্ট্রেস, প্রবল মানসিক অশান্তি দূর হয়।

শুনলে হয়তো অবাক হবেন, দাঁতের স্বাস্থ্যরক্ষায় চুম্বন ভীষণ উপকারী। পরস্পর পরস্পরকে চুমু খাওয়ার সময় তাদের লালা মিশে যায় এবং তাতেই দাঁত, মাড়ি আর মুখের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এইভাবে প্রতিদিন চুমু আপনার দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৩। চুমু খাওয়ার সময় হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শরীরের শিরা আর ধমনীগুলো প্রসারিত হয়, তাতে শরীরে রক্ত স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মুখের ব্যায়ামের জন্য অন্যতম টোটকা হচ্ছে চুমু খাওয়া। চুমু খেলে মুখে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। একটি চুমু খাওয়ার জন্য একটি মুখের প্রায় ৩০টি পেশি একসাথে ব্যবহার করতে হয়। এতে পেশিগুলোর একটি ওয়ার্কআউট নিশ্চিত হয়। এর ফলে পেশিগুলো শক্তিশালী রাখে। আর মুখের ত্বক টানটান ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।চুমু খেলে মুখের ত্বকও শক্ত হয়।

চুমু খেলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। চুমু খেলে আয়ু বৃদ্ধি পায়। তাই যতই কর্মব্যস্ত থাকেন না কেনো, শিডিউল যতই টাইট থাকুক না কেনো, হাতে অল্প সময় বের করে ভালবাসার মানুষটিকে একটু আদর করতে ভুলবেন না যেন। আর মনে রাখবেন-তাই যত খুশি চুমু খান আর তত বেশি সুস্থ থাকুন!

Link copied!