হাইপারটেনশন, যার আরেক নাম উচ্চ রক্তচাপ, হলো এমন একটি রোগ যখন কোনো ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে।বেশি লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত মেদ,কাজের চাপ, মদ্যপান, পরিবারের আকার, অতিরিক্ত আওয়াজ এবং ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।এর থেকে প্রতিকার পেতে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের রক্তচাপের জন্য চিকিৎসকেরা ওজন কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়ামকে চিকিৎসার প্রথম ধাপ হিসেবে ধরেন।
সম্প্রতি পড়াশোনার সঙ্গে রক্তচাপের সম্পর্ক রয়েছে বলে গবেষণায় ধরা পড়েছে। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ যত বেশি পড়াশোনা করেন, তাঁর রক্তচাপের উপর সেই শিক্ষার প্রভাব পড়ে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই বিষয় নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়েছে।
পড়াশোনা রক্তচাপের উপর কোনও প্রভাব ফেলে কি না, সেটাই দেখার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা।এই গবেষণার জন্য ৩ হাজার ৮৯০ জন মানুষকে বেছে নেওয়া হয়। এসব মান্যুষকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগে ফেলা হয়েছে ১২ বছর বা তার কম পড়াশোনা করেছেন। ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে পড়াশোনা করেছেন এমন ব্যক্তিদের রাখা হয় দ্বিতীয় দলে। অপর দলে তাদের রাখা হয়েছে যারা ১৭ বছর বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন।
এই তিন দলের মানুষের রক্তচাপের উপরের অঙ্কটি, অর্থাৎ সিস্টোলিক রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা হয়। গবেষকদলের অন্যতম প্রধান এরিক লুকাস জানিয়েছেন,যারা বেশি মাত্রায় পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের রক্তচাপের পরিমাণ তুলনায় কমেছে। এমনকি এই তিন দলের মানুষের বিগত ৩০ বছরের রক্তচাপের রেকর্ডও দেখা হয়েছে।তাতেও দেখা গিয়েছে, পড়াশোনা যত বেড়েছে, ততই কমেছে রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা।
গবেষকদের দাবি,উচ্চশিক্ষা রক্তচাপকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার সঙ্গে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।