আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৮:০৫ এএম
গত ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে পদত্যাগপত্রে সই করে দেশ ছাড়ার পর অবশেষে নীরবতা ভেঙেছেন ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা থেকে নিজের বিচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি যদি সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর তাদের হাতে ছেড়ে দিতাম, তাহলে আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।”
গতকাল শনিবার দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি এই অভিযোগ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার এই বার্তা দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ‘বিদেশি শক্তির ইন্ধন’ রয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে। এর কয়েক দিনের মাথায়ই আওয়ামী লীগ সভাপতির মুখে শোনা গেল এই কথা। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রকে দুষেছেন শেখ হাসিনা।
অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মন কষাকষি চলছিল। এর মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বলেছিলেন, একজন ‘শ্বেতাঙ্গ’ ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি একটি প্রস্তাব পেয়েছেন। তাকে বলা হয়, বিমান ঘাঁটি করতে দেওয়ার বিনিময়ে সহজে ক্ষমতায় আসতে পারবেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিদেশি শক্তির দ্বারা ব্যবহৃত না হওয়ার জন্যও সতর্ক করেছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় দেশে ফেরার অঙ্গীকার করে শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি শীঘ্রই ফিরবো, ইনশাআল্লাহ। পরাজয় আমার, কিন্তু জয়ী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনাদের সমর্থন নিয়ে আমি এসেছিলাম, আপনারা ছিলেন আমার শক্তি। আপনারা যখন আমাকে চাননি, তখন আমি নিজে থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি। আমার যেসব কর্মী সেখানে আছেন, তারা কেউ মনোবল হারাবেন না। আওয়ামী লীগ বারবারই উঠে দাঁড়িয়েছে।”