পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়িয়ে অনেকেই জমি কিনেছেন চাঁদে। এরপর চাঁদ ছাপিয়ে মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার কথাও পুরনো। কিন্তু এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি জমি কিনেছেন মঙ্গল গ্রহে। তিনি বাংলাদেশি তরুণ ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন। তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে।
তিনি সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহে ১ একর জমি কিনেছেন। গতকাল সেই জমির দলিলও পেয়েছেন হাতে। মঙ্গল গ্রহের ম্যাপেও উল্লেখ রয়েছে কোথায় আছে তার জমি।
যে প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোপূর্বে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনেছেন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ, জিমি কাটার ও রোলান্ড রিগ্যান (সূত্র: ইউএসনিউজ), সেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ডেনিস হোপের কাছ থেকে কিনেছেন ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন এক একর জমি।
এ বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রযুক্তি থেমে নেই, মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে অবতরণ করেছে নাসার ‘মার্স ২০২০ পার্সিভেরেন্স’ রোভারটি। পৃথিবীতে বসেই মঙ্গলে বাসস্থান গড়ার জন্য কাজ করছে একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের এ কাজেও সাক্ষী হয়ে থাকবে বাংলাদেশ। যেহেতু মঙ্গল গ্রহের গবেষণায় কাজ করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা, তাই তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব গবেষণায় ছড়ানোই আমার মূল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মতো মঙ্গল গ্রহেও পা রাখবে বাংলাদেশিরা। যদি কোনো দিন বাংলাদেশি বিজ্ঞানিরা মঙ্গল গ্রহে পা রাখতে পারে, তাদের গবেষণার কাজে উৎসর্গ করা হবে এই জমি।’
জানা গেছে, মঙ্গল গ্রহে জমি কেনার তালিকায় রয়েছেন বিশ্বের আরও এক কোটি ৩২ হাজার ২৯৫ জন। আগামী ২০২৩ সালে চার নভোচারীর প্রথম দলটি যাবে মঙ্গলে। ২০২৩ সাল নাগাদ মঙ্গল অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের কোম্পানি ‘মার্স ওয়ান’। সেই লক্ষ্যে টিকিটও বিক্রি শুরু করেছে তারা
তবে এই খবরে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত আবেদন করেছে দুই লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে প্রথম ৪০ জনকে নির্বাচন করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে চূড়ান্তভাবে চারজনকে বাছাই করা হবে।