অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম
গত ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে আসেন মার্কিন এই তরুণী। পরদিন ১৯ অক্টোবর বিয়ে করেন ২৭ বছরের যুবক রিজুকে। তাই বিয়ের আগে খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হয়।
আইরিন ডেভিডসন আমেরিকার কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরের বাসিন্দা। আর আসাদুজ্জামান রিজু ঈশ্বরদী পৌর শহরের পিয়ারাখালি মহল্লার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন।
নবদম্পতি ঈশ্বরদী শহরের পিয়ারাখালি এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার পেতেছেন। তাঁদের দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
আলাপকালে রিজু ও ডেভিডসন জানান, এক বছর আগে ফেসবুকে তাঁদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী নিজ দেশের মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন আইরিন ডেভিডসন।
আলাপকালে রিজু বলেন, ‘আমরা উভয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। আমার বাসায় প্রতিদিন অনেক লোক আসছে আমার বউকে(মার্কিন তরুণী) দেখতে।
বাসা ছোট হওয়ার কারণে নতুন বাসা ভাড়া নিতে হয়েছে। বাড়ির পাশেই এই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছি। এখন বাসায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা ও গোছগাছ করতে সময় কাটছে।’
নতুন সংসার কেমন লাগছে এ প্রশ্নের উত্তরে ভাঙা ভাঙা বাংলায় আইরিন ডেভিডসন বলেন, ‘আমি ভালো আছি, আমার ভালো লাগছে। খুব খুশি রিজুকে বিয়ে করতে পেরে।’
রিজুর বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে এ বিয়ে মেনে নিয়ে ওদের নতুন সংসার গুছিয়ে দিচ্ছি।’
ঈশ্বরদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু বলেন, ‘আমরা একই মহল্লায় থাকি। আমেরিকান তরুণী ঈশ্বরদী এসে রিজুর সঙ্গে ঘর বেঁধেছে, ওরা ভালো আছে।’
ঈশ্বরদী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নবদম্পতির জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’