বেটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১, ০৪:১৫ এএম
ভাল উপার্জনের জন্য আর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়া লাগে না। হওয়ার দরকার হয়না সরকারি আমলা। বর্তমানে উপার্জনের নানা উৎস উঠে এসেছে। আর মহামারি করোনার হামলায় অনেকের পেশা বদল হয়ে গেছে। সম্প্রতি ফটোগ্রাফি পেশা বাদ দিয়ে ইউটিউবের প্রেরণামূলক বক্তা হিসেবে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছেন ভারতের সন্দীপ।শুধু ইউটিউবার বললে তার জনপ্রিয়তা বোঝা সম্ভব নয়। তিনি এখন একজন ‘ব্রান্ড’।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়,করোনা মহামারির অনেক আগে থেকেই ইউটিউব ভিডিও বানাতেন তিনি। মূলত প্রেরণামূলক অনলাইন বক্তৃতা করে থাকেন তিনি।করোনাকালে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেওয়াও শুরু করেন তিনি।
মধ্যবিত্তের সন্তান সন্দীপের ব্রান্ড হেয়ে ওঠার পেছনেও রয়েছে অনেকে কাহিনী। ইউটিউবার হওয়ার যাত্রা শুরু করার আগে বিভিন্ন পেশায় ছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে ফটোগ্রাফির মাধ্যেমে জীবনে প্রথম উপার্জন শুরু সন্দীপের। ছবি তোলার ক্ষেত্রেও বিশ্বরেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে। তবে আদতে ফটোগ্রাফার হলেও বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে সাফল্য অর্জনের পথ দেখানো ও পরামর্শ দেওয়ার কাজের জন্যই বেশি খ্যাতি সন্দীপের।
কলেজ জীবন শেষ করতে না পারলেও ভারতের সেরা তিন প্রেরণামূলক বক্তার তালিকায় রয়েছেন তিনি।ইউটিউবার হিসেবে পেয়েছেন অনেক সম্মান।ওয়ান অব ইন্ডিয়া’স মোস্ট প্রমিশিং অন্তেপ্রেনর্স’, ‘পাইনিয়ার অব টুমরো’, ক্রিয়েটিভ অন্তেপ্রেনর অব দ্য ইয়ার ২০১৩-তারই কয়েকটি।
কী করে ভাল থাকবেন, কী করে সফল হবে-তার পরামর্শ দেওয়াই পেশা সন্দীপের। নেটজগতে তার ভিডিও মানেই লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের ছড়াছড়ি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তার ভিউয়ারের সংখ্যা।তার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ।
সম্প্রতি এমনই এক ভিডিওর বদৌলতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।নিজের সে কথা ফেসবুকে জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘ এই খবর জানাতে পেরে আমি খুব খুশি যে আমার লাইফ চেঞ্জিং সেমিনার ভিডিওর দর্শক সংখ্যায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গা পেয়েছে।
এই কৃতিত্বের জন্য তিনি যে প্রশংসাপত্র পেয়েছেন তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ভিডিওটি মোট ৩ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ বার দেখা হয়েছে। শুধুমাত্র ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানিয়ে সন্দীপ বছরে আয় করেন অন্তত তিন কোটি টাকা।
