বেটা
মদ খাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে সৌদি আরব-এমনটা শুনতে আশ্চর্য শোনালেও বাস্তবে এমনটা ঘটতে পারে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন-২০৩০’ অনুসারে ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচে ‘নিওম’ নামের একটি মেগাসিটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এবং সেই মেগাসিটিতে মদ খাওয়ার বিষয়টি এখনো বাতিল হয়নি। ফলে স্বভাবতই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কি মদ খাওয়ার অনুমতি দিতে যাচ্চে দেশটি?
তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে মেগাসিটি ‘নিওম’ তৈরি করছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। শহরটিতে রোবট, এয়ারবোর্ন ট্যাক্সিসহ নানা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
ধারনা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালে শহরটিতে প্রথমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে মানুষও বসবাস শুরু করবে। নিজস্ব আইনের মাধ্যমে নিওম পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য, নিওম পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
নিওমের টেক অ্যান্ড ডিজিটাল হোল্ডিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জোসেফ ব্র্যাডলি এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, বিদেশি মেধাবী মানুষ ও পর্যটক আকর্ষণে অ্যালকোহলের গুরুত্বের বিষয়টি ‘সবাই বোঝেন’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে পারি, আমরা এমন একটি আইন তৈরি করতে যাচ্ছি যা পর্যটকদের, প্রযুক্তি খাত এবং নির্মাণ শিল্পকে আকৃষ্ট করবে’।
উপসাগরীয় দেশগুলোতে বিদেশিরা সীমিত পরিসরে বৈধ উপায়ে অ্যালকোহল পান করতে পারলেও সৌদি আরবে এখনও সে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সীমিত পরিসরে (নির্দিষ্ট জায়গায় কিংবা শুধু বিদেশিদের জন্য) অ্যালকোহল পানের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনায় আছে।
তবে বিষয়টিকে ‘স্পর্শকাতর ইস্যু’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে কর্তৃপক্ষ ‘সামাজিক সমালোচনা’ শুরুর আশঙ্কাও করছে।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
-20241111110329.jpg)
