যেখানে মুরগির মাংস পিস হিসেবেও বিক্রয় করা হয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৩, ২০২৩, ০৩:০২ এএম

যেখানে মুরগির মাংস পিস হিসেবেও বিক্রয় করা হয়

গরুর মাংস কিনে খাওয়ার সাধ্য বর্তমানে নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকদের নেই। মাংসের ক্ষেত্রে তাদের প্রধান ভরসা ব্রয়লার মুরগি। তবে দেশজুড়ে ক্রমাগত ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় এর মাংস খাওয়াও তাদের জন্য বেশ কষ্টের হয়ে উঠছে। এসব স্বল্প আয়ের মানুষের অভাব মেটাতে এবং দ্রব্যমূল্যেরে ঊর্ধ্বগতির কথা চিন্তা করেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের এক মুরগি ব্যবসায়ী।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের চকবাজার কাঁচাবাজারের সেলিম পোল্ট্রি শপে পিস হিসেবে মুরগি বিক্রি চালু হয়েছে। মুরগির দোকানের সামনে টাঙানো রয়েছে একটি নোটিশ। তাতে লেখা ‘এখানে মুরগির মাংস টুকরা হিসেবেও বিক্রি করা হয়।’

মো. কায়সার আলী চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির উদ্যোগে ও মুরগির দোকানি আবু হেনা মোহাম্মদ খোরশেদ ওয়াজিদের সহযোগিতায় এভাবে মাংস বিক্রি শুরু হয়েছে। একটি মুরগি কাটার পর চার ভাগ করে টুকরা হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। অন্যদিকে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। এহিসেবে ব্রয়লার মুরগির মাংসের প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা। আর সোনালি মুরগির মাংসের প্রতি টুকরার দাম পড়বে ৭৭ থেকে ৮০ টাকা।

সেলিম পোলট্রি শপের ব্যবস্থাপক আবদুর কাদের গণমাধ্যমকে জানান, এখনো প্রচার না হওয়ায় অনেকেই জানেন না এই উদ্যোগ সম্পর্কে। একটি মুরগি কেটে রেখে দিলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যারা ভাগ হিসেবে নিতে চান, তারা একসঙ্গে এলে তাদের সামনেই ভাগ করে দেওয়া যাবে। মানুষের মধ্যে প্রচার হলে মানুষ টুকরা হিসেবে কিনতে আগ্রহী হবেন।

টুকরা হিসেবে মুরগি বিক্রয়ের উদ্যোক্তা চকবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা মো. কায়সার আলী চৌধুরী বলেন, বর্তমান বাজারে মুরগির দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। শুধু মুরগি নয়, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও এক অবস্থা। নিম্নবিত্ত ও ব্যাচেলর থাকা ছাত্ররা যাতে সাধ্যের মধ্যে মুরগির মাংস কিনতে পারেন, সেই চিন্তা থেকে চকবাজারে টুকরা হিসেবে মুরগি বিক্রির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোক্তা বলেন প্রথমে এ বিষয়ে সেলিম পোলট্রি শপে কথা বলি। শুরুতে তারা রাজি না হলেও পরে রাজি হন।

পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ দিয়ে কায়সার আলী আরও বলেন, “ ভারতে টুকরা হিসেবে মাছ-মাংস বিক্রি হয় অনেক আগে থেকেই। তবে এখানে এখনো এর প্রচার নেই। তাই অনেকেই বলতে লজ্জা পান। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরাসরি বলতে পারেন না। আশপাশের দোকানগুলোতেও একইভাবে টুকরা হিসেবে বিক্রির ব্যাপারে কথা বলা হবে। সব দোকানে এভাবে বিক্রি হলে মানুষ আর বলতে ইতস্তত বোধ করবেন না।” গরুর মাংস ও মাছের বাজারেও এই উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Link copied!