বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড

সাংবাদিকের চোখে: ধর্ম নিয়ে বিতর্কে আটকে গেল মরদেহ

সাদিয়া ইসলাম সুপ্তি

মার্চ ১, ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম

সাংবাদিকের চোখে: ধর্ম নিয়ে বিতর্কে আটকে গেল মরদেহ

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

হিন্দু নাকি মুসলিম? একটা লাশের পরিচয়েও ধর্মের অগ্রাধিকার। মর্গের ফ্রিজে পড়ে আছে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাবেক সাংবাদিকের মরদেহ। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে নিভে যাওয়া আর একটি আলোর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। এই নাম নিয়েও কত রকম ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তা শুধু শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে যারা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছেন তারাই দেখেছেন।

দাবি উঠেছে তার নাম বৃষ্টি খাতুন, আবার ফেসবুকে তার প্রোফাইল নাম ছিল অভিশ্রুতি বৃষ্টি।

তার পরিচয় হয়তো হতে পারতো একজন নারী সাংবাদিক বা নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসাবে। তবে এখন প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে ধর্ম পরিচয় নিয়ে। বাবা দাবী করছেন মুসলিম। অভিশ্রুতি নিজেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্রাহ্মণ পরিচয়ে এযাবৎ পরিচিত করেছেন সবার মাঝে।

কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলা থেকে উঠে আসা অভিশ্রুতি আজ মর্গে শুয়ে, মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক ঘন্টা। এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে দাবীকৃত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে নাকি পরে থাকতে হবে বরফে ঘেরা বাক্সে।

স্বজনরা তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাকে বৃষ্টি খাতুন বলে দাবি করছিলেন, ঠিক তখন সনাতন ধর্মের কয়েকজন তার ফেসবুক আইডি ও সিভি দেখাচ্ছিলেন সাংবাদিকদের। তাদের চাওয়া, পূজার্চনা করা অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল বাবা- মাকে খুঁজে বের করে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হোক।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে বলেন, নিহত ওই তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সনাতন ধর্মের অনুসারি তিনি। পূজার্চনায় নিয়মিত অংশ নিতেন রমনা কালী মন্দির ও ঢাকেশ্বরীতে।

বিপ্লব দে ও অভিশ্রুতির সহকর্মীরা দাবি করেন, সে দ্যা রিপোর্ট অনলাইন পোর্টালের ইলেকশন কমিশন বিটের রিপোর্টার। এই নামেই সবাই চেনেন তাকে। অন্য একটি অফিসে যেই সিভি পাঠিয়েছিলেন সেখানেও তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

লেখক: সাংবাদিক। 

(এখানে  লেখক তাঁর নিজস্ব  মতামত তুলে  ধরেছেন এবং লেখাটি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সম্পাদকীয় অবস্থান প্রতিফলিত করে না।)

Link copied!