আগস্ট ১০, ২০২৪, ০৫:৪২ এএম
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদ ছাড়ার আল্টিমেটাম ও ‘যেকোনও ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টা ১ মিনিটে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কথা উল্লেখ করে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ ও প্রধান বিচারপতির পদ ত্যাগের দাবি আসিফের
আসিফ মাহমুদ লেখেন, “ফ্যাসিবাদের দালালরা এখনও ওঁৎ পেতে আছে ছাত্র-জনতার বিজয় ধ্বংসের উদ্দেশ্যে। শান্তিপূর্ণভাবে হাইকোর্ট ঘেরাও করছে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। এখনও সময় আছে শান্তিপূর্ণ পদত্যাগের। অন্যথায় আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো।”
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, “ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির কোনও ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। শিক্ষার্থী ও আইনজীবীরা এর মধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হতে শুরু করেছেন।”
এদিকে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রার আহ্বান জানিয়ে আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সকালে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থান রক্ষার্থে জুডিশিয়ারি ক্যু রুখে দিতে হাইকোর্ট ঘেরাও করুন।”
পরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “রাজধানীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আপামর জনতাকে আহ্বান করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আপনারা সব এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে আসুন, হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। সেইসঙ্গে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে মিছিল বের করুন। দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জর্জকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে। আজ ফ্যাসিবাদী বিচার ব্যবস্থাকে আজ সমূলে উৎখাত করবে গোটা বাংলাদেশ।”
আরও পড়ুন: ফুল কোর্ট বৈঠক স্থগিত করলেন প্রধান বিচারপতি
উল্লেখ্য, দুই সমন্বয়কের এই ঘোষণার পর পরই সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আহুত ফুল কোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।