স্বাধীনতাবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (৭ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিরা আবারও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।”
বিএনপি হত্যা-ক্যুর রাজনীতিতে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেই হত্যাকারীরা এখন গণতন্ত্র-মানবাধিকারের কথা বলে। সরকারের সমালোচনা করে।”
বিএনপি নেতা মঈন খানকে নানক বলেন, “এই দেশে হত্যা-ক্যুর রাজনীতি শুরু করেছে আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান। সেই ধারা আপনারা বজায় রেখে চলেছেন। এ দেশের জনগণ আপনাদের লাল কার্ড দেখিয়েছে। আপনারা অপরাজনীতির ভেতর থেকে বের হয়ে আসেন, না হলে আপনারা বিলীন হয়ে যাবেন।”
বিএনপির শাসনামলে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “নির্মমভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো। তখন হত্যাকারীদের বিচার হলো না! কী কারণে বিচার হলো না? হত্যাকারীদের রায় কেন হচ্ছে না? আমার বোধগম্য নয়। তবে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।”
২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যাচেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে যায়। সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মানব দেয়াল তৈরি করে নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়েছিল। সেই হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ২৪টি তাজা প্রাণ চলে যায়। এই তো ছিল বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি।”
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে ও গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র আজমতউল্লাহ খানসহ আরও অনেকে। একই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।