জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে একথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

সোমবার, ০২ জুন বিকেলে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুরু উপলক্ষে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই বৈঠক হয়।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। আগেই জরুরি ভিত্তিতে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সে সমস্ত সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। এমন কোনো সংস্কার নেই যেগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।’

সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্যান্য সব সংশোধন যেগুলোর বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবে সবাই একমত, সেগুলো নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।

‘সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটিও কারণ উল্লেখ করার মতো নেই,’ বলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এ বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং আবারও সে পন্থার প্রস্তাব দিয়েছি। আজকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমরা দেখলাম, সবাই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য সবার প্রস্তাব আছে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। আশা করি, তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে নিরপেক্ষভাবে সে ভূমিকা পালন করবেন।’

সংস্কার নিয়ে মতৈক্যের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের আলাপআলোচনায় মনে হয়েছে কিছু কিছু জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা একমত হওয়ার জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। হয়তোবা আমরা জাতীয়ভাবে সব বিষয়ে একমত পোষণ করতে পারব না, এই হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু আমরা আলাপ-আলোচনা করব। কোথাও আমরা একমত হতে পারব কোথাও আবার একমত হবার কাছাকাছি আসতে পারব, এভাবেই একটি জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। আজকের এই বৈঠকের জন্য ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

Link copied!