গাছ লাগানো আওয়ামী লীগের নীতি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৮৪ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে ৩ মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সেই সময়ের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। পরিবেশ রক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন এসব কিন্তু তখনও বিশ্বে আসেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, আমরা উদ্যোগ নিই। সবসময় গাছ লাগানো আমাদের নীতি ছিল। তখন থেকে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি এবং কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দিই। এটা আমরা শিখেছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছ থেকে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ দেশে ঘোড়দৌঁড় বন্ধ করে দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “রেসকোর্স ময়দানে প্রথম বৃক্ষরোপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে অনেক পুরনো নারকেল গাছগুলো তার সময়েই লাগানো। তিনি নিজে বৃক্ষরোপণ করেন। গণভবনের পুরনো গাছগুলো বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে লাগানো ছিল ও খুব চমৎকারভাবে গাছগুলো সাজিয়ে লাগানো।”
শেখ হাসিনা বলেন, “এয়ারপোর্ট থেকে বাংলা একাডেমি হয়ে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত আইল্যান্ডের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া গাছ। যখন ফুল ফুটতো, অপরূপ রূপ আমাদের এই শহরটা জেগে উঠতো। জিয়াউর রহমান একে একে সব গাছগুলো কেটে ফেলে দেয়। ঠিক হোটেল শেরাটনের সামনে একটা আইল্যান্ড আছে, সেখানে নাগকেশর ফুলের গাছ ছিল। সেখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে বা হেঁটে গেলে খুব সুন্দর খুশবু আসতো। চমৎকার সবুজে ভরা ছিল। সেগুলো জিয়াউর রহমান কেটে ফেলে দেয়।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে বিরাট বাগান বিলাশের ঝাড় ছিল, সেখানে অনেক টুনটুনি পাখি ছিল। আমরা ছোটবেলায় রুটি নিয়ে ওখানে যেতাম, ওদের খাবার দিতাম। সেটাও কেটে ফেলে।”
বিএনপিকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে বিএনপিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের ভোটের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু; অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রহসন। ক্ষমতার মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল।”
শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়। এরপর এলো খালেদা জিয়া। সেও ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরিই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে; সার পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলনের অপরাধে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল।”