ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে ছয় দিনের “গণজাগরণের নৃত্য উৎসব”। গতকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের সূচনা হয়।উৎসবে অংশ নিয়েছে ৬৭টি দেশের ৭৫টি নৃত্যদল।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে চারটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবে।প্রথম দিনের পরিবেশনায় অংশ নেয় ৯টি নৃত্যদল। ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের মর্মান্তিক মৃত্যু আর নির্মম নির্যাতনের বিপরীতে সুন্দর পৃথিবী গড়ার এবং শান্তি, নিরাপত্তা এবং নির্ভীক চিত্তে শিশুদের বেড়ে উঠার অঙ্গীকার জানিয়ে যুদ্ধ বিরোধী নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব।
এ আলোকে প্রথমদিনের আয়োজনের শুরুতেই ‘অবহেলার মৃত্য নয়’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু নৃত্যদল। এরপর নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে নৃত্যদল ‘নৃত্যাঞ্চল’।
কত্থক কম্পোজিশনে তারানা পরিবেশন করে নৃত্যপরিচালক শামীম আরা নীপা ও শিবলী মোহাম্মদের নৃত্যদল। নৃত্যালেখ্য ‘বঙ্গবঙ্গুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’ পরিবেশন করে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস, যার নৃত্য পরিচালনা করেন এ্যানি ফেরদৌস।
‘আমাদের বাংলাদেশ’ নৃত্যালেখ্য পরিবেশন করে ম্যাশ মাহবুব কোরিওগ্রাফি টিম। নৃত্য পরিচালনা করেন মাশরুর রহমান ও হোসেন মাহবুব। বিঝু উৎসব খণ্ডনৃত্য পরিবেশন করে তপস্যা নৃত্যদল। নৃত্য পরিচালনা করেন ফিফা চাকমা।
ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার পরিবেশন করে খণ্ডনৃত্য ‘প্রিয় বাংলাদেশ’। নৃত্য পরিচালনা করেন সৈয়দা সায়লা আহমেদ লিমা। নৃত্যালেখ্য ‘ষড়ঋতু’ পরিবেশন করে নৃত্যদল নন্দন কলা কেন্দ্ৰ। নৃত্য পরিচানায় ছিলেন এম আর ওয়াসেক।
নৃত্যালেখ্য ‘স্বপ্নসুরের বাংলাদেশ’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস, নৃত্য পরিচালনা করেন ফারহানা চৌধুরী। নৃত্যালেখ্য ‘হৃদয়ের কবি’ পরিবেশন করে নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্ৰ। নৃত্য পরিচালনা করেন কবিরুল ইসলাম রতন।
সবশেষে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রিয় গান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান’ শিরোনামে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল।
আগামী ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই আয়োজন প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উপভোগ করা যাবে। এই নৃত্য উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত।