‘ফুটপাত’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল ইমরান হাশমির । নিজের সুনিপুণ অভিনয় দক্ষতা আর সাবলীল বাচনভঙ্গি দিয়ে খুব সহজেই তরুণ সিনেপ্রেমিদের মনে জায়গা করে নেন এই অভিনেতা।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মার্ডার’ ছবিটি এই অভিনেতাকে অন্য রকম পরিচিতি এনে দেয়। তার সাফল্যের ঝুলিতে একে একে এসে যোগ হয় ‘গ্যাংস্টার’,জান্নাত,আওয়ারাপান ,আশিক বানায়া আপনেরর মতো দর্শকপ্রিয় সিনেমাগুলো।
অভিনয়ের পাশাপাশি রোমান্টিক দৃশ্যের জন্য এই নায়কের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে । তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন কোনো ছবি নেই, যেখানে তিনি তার নায়িকাকে চুমু খাননি। তার মতো করে পর্দায় চুম্বনের সাবলীল অভিনয় আর কেউ করতে পারেন না। কিন্তু এ জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি এই নায়ককে। এমনকি মারও খেতে হয়েছে স্ত্রীর কাছে।
২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাজ থ্রি’ ছবিতে ইমরানের সঙ্গে বিপাশা বাসুর ছিল এক দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য । বলিউডে এত দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি। এরপর এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছিলেন, তার স্ত্রী পারভিন সাহসী চুম্বনের এসব দৃশ্য পছন্দ করতেন না। নিজের স্বামী পর্দায় অন্য নারীকে চুমু খাচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারতেন না পারভিন। এসব দৃশ্যে খুবই অসন্তুষ্ট হতেন ইমরানপত্নী।ইমরান বলেছিলেন, ‘এখন চুম্বনের দৃশ্য দেখলে সে খুব একটা মারে না। আগে তো ব্যাগ দিয়ে পেটাত।’ এই নিয়ে ইমরানের দুঃখও কম নয়।
অন্য এক সাক্ষাৎকারে ইমরান হাশমি বলেছেন, ‘আমার যন্ত্রণা কেউ বোঝে না। চুমু খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। টানা ১৭ বছর একই রকম কাজ করে কেউ দেখাক! প্রতিটি ছবিতে অন্তত ২০টি করে চুমু খেতে হতো আমাকে।’
তবে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত ‘সিরিয়াল কিসার’ তকমাটি একেবারে খারাপ লাগত না ইমরান হাশমির। তিনি বলেন, ‘ওই তকমার জন্য যে কোনো সুবিধা পাইনি, তা নয়। এর কারণেই আমার ছবি হিট করেছে। আসলে এভাবেই একজন অভিনেতাকে একটা ঘরানার মধ্যে ফেলে দেয় দর্শক। তাই না চাইলেও ওই তকমা আমাকে আনন্দ দিয়েছে।’