নব্বই দশকের শেষদিকে অপরাধ জগতে অত্যন্ত ক্ষমতাধর ছিল গ্যাংস্টার হুব্বা। খুন, অপহরণ সব ধরনের অপকর্মের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন তিনি। এমনকি তার নামে চোরাচালানের ৩০টি মামলাও ছিল। এসব অপকর্মের জন্য হুব্বা ৭০টি ফোন ব্যবহার করতো। তিনবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। তবে ২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পরে বৈদ্যবাটির খালে গলিত মরদেহ পাওয়া যায় হুব্বা শ্যামলের।
তাঁর জীবনকে বড় পর্দায় আনতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা ব্রাত্য বসু। ‘হুব্বা’ শিরোনামের এই সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেতা মোশাররফ করিম।
আগামী ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। সিনেমাটির মুক্তিকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দেয়াল, বিলবোর্ড, গাড়ি থেকে ট্রাম সবখানেই দেখা যাচ্ছে হুব্বার পোস্টার। এমনকি কলকাতার মেট্রো রেলও সেজেছে হুব্বার পোস্টার ও ব্যানারে। হুব্বার পোস্টারসহ এ রকম একটি মেট্রো রেলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটা স্টেশনে এসে থামছে ট্রেন। যে ট্রেনের দুই পাশেই হুব্বার পোস্টার।
বাংলাদেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এর আগে একই নির্মাতার ‘ডিকশনারি’ সিনেমায় অভিনয় করে ওপারে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এদিকে সাফটা চুক্তির আওতায় একই দিনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে ‘হুব্বা’। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও একই সময়ে মুক্তির পরিকল্পনা করেছে পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়া। এরই মধ্যে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে তারা।
উল্লেখ্য, ‘হুব্বা’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন’। মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে পুলিশের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। এ ছাড়াও আছেন—পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ।