দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। ভারতের অন্যান্য প্রদেশে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার, দোলের সকালে সবাই যখন ব্যস্ত রঙের খেলায়, তখন মনে রঙের লেশমাত্র নেই টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় এই নায়িকার মন বড়ই খারাপ।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুলের মৃত্যুতে খুবই শোকার্ত তিনি। ঋতুপর্ণার খুবই কাছের মানুষ ছিলেন বাবুল। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেই মন ভাল নেই নায়িকার। একটা সময় চুটিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আর তাঁর বেশিরভাগ ছবিতেই নৃত্য পরিচালক হিসেবে ছিলেন মাসুম বাবুল।
প্রয়াত নৃত্য পরিচালকের ছবি দিয়ে ঋতুপর্ণা লেখেন, “মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। অনেক অনেক ছবি করেছি তোমার সঙ্গে বাবুল। কত গল্প, কত হাসি, দারুণ দারুণ কাজ। তুমি আমায় বলতে ‘ম্যাজিক গার্ল’। বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলে। অনেক লড়াই করলে। এখন তোমার প্রিয় বন্ধু মান্নাভাই-এর কাছে চলে গেলে। কত কাজ করেছি আমরা সবাই। সব স্মৃতি হয়ে গেল। ভাল থেকো যেখানেই থাকো।”
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে মাসুম বাবুল মারণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ১৫টি কেমোথেরাপি এবং ২৯টি রেডিওথেরাপি নিয়েছিলেন। ভারতের চেন্নাইতেও তার চিকিৎসা হয়েছিল। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, ৪৫ বছরের ক্যারিয়ারের তিনবার (দোলা, কি যাদু করিলা, একটি সিনেমার গল্প) জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মাসুম বাবুল। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর বায়োগ্রাফিতে একমাত্র বাংলাদেশি টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ের আঙ্গিনায় পা রেখেছিলেন মাসুম বাবুল। ১৯৬২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তারকা নৃত্যপরিচালক হিসেবে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যান।