ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ০১:০১ পিএম
দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু বিয়ে করেন অভিনেতা নাগার্জুনের ছেলে নাগা চৈতন্যকে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবন মাত্র চার বছর স্থায়ী হয়। তার পর তারা বিবাহবিচ্ছেদ করে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান।
নাগা চৈতন্য এবং সামান্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভক্তদের জানিয়েছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগা চৈতন্য এবং তার পরিবার সামান্থাকে ২০০ কোটি টাকার একটি ভরণপোষণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সামান্থা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
সামান্থা তার বিবৃতিতে লিখেছেন— আমাদের সব শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রতি বলছি, অনেক চিন্তাভাবনার পর আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ভাগ্যবান যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বই ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে বন্ধুত্ব সবসময় আমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন বজায় রাখবে।
এর পরই প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় এই জুটি কীভাবে এভাবে আলাদা হলেন। বলা হচ্ছিল যে সামান্থা অভিনয় জগতে সাহসী এবং হট চরিত্র করতে চান, তবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এর বিরুদ্ধে ছিলেন।
ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগার্জুন চাননি তার বাড়ির পুত্রবধূ চলচ্চিত্রে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করুক। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে নাগার্জুন বলেছেন, তিনি কখনই এ ধরনের কথা বলেননি।
নাগার্জুন এক টুইটবার্তায় লিখেছিলেন, সামান্থা ও নাগা চৈতন্য সম্পর্কে আমার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অপ্রাসঙ্গিক। আমি মিডিয়া বন্ধুদের অনুরোধ করছি, দয়া করে গুজবকে খবর হিসেবে পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে নাগার্জুন আরও বলেছেন, নাগা চৈতন্য তার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন, কিন্তু তিনি আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন, আমি কী ভাবব এবং পরিবারের খ্যাতির কী হবে। নাগা চৈতন্য আমাকে অনেক সান্ত্বনা দিয়েছেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন, আমি চিন্তিত হয়ে যাব।
ওই বার্তায় তিনি আরও লিখেছেন, তারা দুজনই চার বছর ধরে বিবাহিত জীবনে একসঙ্গে থাকলেও তাদের মধ্যে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। দুজন এত কাছাকাছি ছিল এবং আমি জানি না কীভাবে এ সিদ্ধান্তে এলো তারা। তারা একসঙ্গে ২০২১ সালের নতুন বছরও উদযাপন করেছে। মনে হচ্ছে এর পরেই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সামান্থা রুথপ্রভূ ও নাগা চৈতন্য ২০১৭ সালে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই জুটির বিয়েকে দক্ষিণ সিনেমার সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে বলে মনে করা হয়। এই বিয়েল ছবি তখন ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।