মে ১৫, ২০২২, ০৪:১৭ পিএম
নিজেকে নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই অপরাজিতা আঢ্যর। স্কুলজীবন থেকে অভিনয়জীবন— সব নিয়েই অনর্গল তিনি। জি বাংলার একটি রিয়্যালিটি শো-তে যেমন হাসতে হাসতে স্বীকার করেছেন, তাঁর ভারী চেহারা নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁকে। নায়কেরা তাঁকে বলেছেন, ‘‘এ বার তো আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করবি!’’ পাশাপাশি একেবারে শুরুতে তিনিও নায়িকা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। অভিনেত্রীর দাবি, সঙ্গে কুপ্রস্তাবও এসেছে প্রযোজকের থেকে। প্রযোজকের ঘনিষ্ঠরা সরাসরি তাঁকে ডেকে বলেছেন, ‘‘এই চরিত্রটা তুমিই করবে। কিন্তু প্রযোজক তোমার সঙ্গে আলাদা জায়গায় দেখা করতে চেয়েছেন।’’
তখনই অপরাজিতা ঠিক করেন, তিনি ছোট পর্দাতেই নিজেকে মেলে ধরবেন। কারণ, ছোট পর্দা থেকে কোনও দিন এই ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব পাননি তিনি। পরে ধীরে ধীরে বদলেছে বাংলা বিনোদন দুনিয়া। ছবি বানাতে এগিয়ে এসেছেন ছোট পর্দারই পরিচালক, প্রযোজকেরা। ফলে, পরিবেশ বদলেছে। তখন অভিনেত্রীও একের পর এক অভিনয় করেছেন নানা স্বাদের ছবিতে। যত ছবির গল্পের ধারা বদলেছে, ততই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ মিলেছে।
যেমন, উইন্ডোজ প্রোডাকশনের ‘প্রাক্তন’। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী ‘মালিনী’র ভূমিকায়। পর্দায় প্রসেনজিতের ‘প্রাক্তন’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ওরফে ‘সুদীপা’। দর্শক এবং সমালোচক মহলে ঋতুপর্ণার থেকেও কিন্তু অপরাজিতার অভিনয় বেশি প্রশংসিত এবং জনপ্রিয় হয়েছিল। অপরাজিতা এর পুরো কৃতিত্বই অবশ্য দিয়েছেন নন্দিতা-শিবুকে। তাঁর কথায়, ‘‘এই পরিচালকজুটি যে ভাবে আমায় নিয়ে ভেবেছেন, আর কেউ সেটা করেননি। ফলে, ওঁদের ছবিতে অভিনয় মানেই আমি অন্য রকম হয়ে যাই।’’
অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি ‘বেলাশেষে’-তে অভিনয় করতেই রাজি হননি। তখন তিনি ছোট পর্দাতেই মশগুল। ছবির প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী শেষে বুঝিয়েসুঝিয়ে রাজি করান তাঁকে। বলেন, ‘‘এই ছবি বক্স অফিসে ইতিহাস তৈরি করবে। অন্য মাত্রা পাবে তোমার অভিনয়।’’ অবশেষে রাজি হন অপরাজিতা। বাকিটা সত্যিই ইতিহাস। ২০ মে প্রযোজনা সংস্থার নতুন ছবি ‘বেলাশুরু’-তেও আছেন অভিনেত্রী।
সূত্র: আনন্দবাজার