নেইমার–ভিনিসিয়ুসদের ছাড়াই ব্রাজিলের দাপুটে জয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

নেইমার–ভিনিসিয়ুসদের ছাড়াই ব্রাজিলের দাপুটে জয়

ছবি: সংগৃহীত

নেইমার-ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোসহ ছিলেন না একাধিক তারকা। সেরাদের ছাড়া কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল কেমন খেলে, সেদিকেই ছিল ভক্ত-সমর্থকদের চোখ। একেবারে নিরাশ করেনি ব্রাজিল। চিলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলের দাপুটে এক জয়ই পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন এস্তেভাও, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গিমারেস।

সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষ দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত ব্রাজিল দল নিয়ে গত কয় দিন চলেছে বিতর্ক। আনচেলত্তি চোটের কারণে নেইমারকে বাদ দেওয়ার কথা বললেও ব্রাজিলিয়ান তারকার দাবি ছিল ভিন্ন। নেইমার বলেছেন, চোট নয়, তাঁর বাদ পড়ার কারণ কৌশলগত।

এই বিতর্কের প্রভাব আজ চিলির বিপক্ষে ম্যাচে কতটা পড়ে, সেটা নিয়েও ছিল আলোচনা। ব্রাজিলের খেলায় কিন্তু এসবের কোনো ছাপই খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আনচেলত্তির দল। আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা ব্রাজিল এই জয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। সবার নিচে থাকা চিলির পয়েন্ট ১৭ ম্যাচে ১০।

মারাকানায় আজ সকালের ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও সুযোগ তৈরিসহ সব দিক থেকেই দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। ৬৫ শতাংশ বলের দখল রাখা ব্রাজিল ২২টি শট নিয়ে ৮টিই রেখেছে লক্ষ্যে। অন্য দিকে ৩৫ শতাংশ বলের দখল রাখা চিলি ৩টি শট নিলেও কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে ম্যাচটি কতটা একপক্ষীয় ছিল।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য অতিথিদের অতিরক্ষণাত্মক ফুটবলের কারণে কিছুটা ভুগেছে ব্রাজিল। কাছাকাছি গিয়েও পাচ্ছিল না গোল। তবে একের পর এক আক্রমণে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে চিলির ডিফেন্স। ৩৮ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক বাইসাইকেল গোলে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন এস্তেভাও। ব্রাজিলের জার্সিতে এটি এস্তেভাওয়ের প্রথম গোল। এক গোল এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।

দ্বিতীয়ার্ধে কোচের পরিবর্তনগুলো বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। বিশেষভাবে নজর কাড়ে লুইস হেনরিকের আগমন। চিলির রক্ষণভাগ ভাঙতে ব্রাজিলের যে বেগ পেতে হচ্ছিল, জেনিতের এই স্ট্রাইকার সেই সমস্যার সমাধান করেন। ম্যাচের ৭২ মিনিটে পাকেতার গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণভাবে ড্রিবল করে তাঁর ক্রসেই হেডে গোল করেন পাকেতা।

তৃতীয় ও শেষ গোলেও ছিল হেনরিকের অবদান। দারুণ এক আক্রমণে ডান দিক ধরে উঠে ব্রুনো গিমারেসের সঙ্গে দারুণ সমন্বয় গড়ে তোলেন। এরপর চিলির পাউলো দিয়াজকে দারুণ এক ড্রিবলে পরাস্ত করে নেন জোরালো শট, যা ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ফিরতি বল জালে ঠেলে দিয়ে গোল আদায় করেন গিমারেস। এই গোলই নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলের ৩-০ গোলের জয়।

 

Link copied!