আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

রোহিতের সেঞ্চুরিতে বড় জয় ভারতের

স্পোর্টস ডেস্ক

অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৩:৪০ এএম

রোহিতের সেঞ্চুরিতে বড় জয় ভারতের

রোহিত শর্মার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল আফগানিস্তান। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে জিতেছে ভারত। বিশ্বকাপে টানা ২ জয় তাদের। ১৪ অক্টোবর প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। 

আফগানিস্তান আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৭২ রান তোলে। জবাবে ভারত ৩৫ ওভারে জয় তুলে নেয় (২৭৩/২)। বিরাট কোহলি ৫৫ ও শ্রেয়াশ আয়ার ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। 

রোহিত ৮৪ বলে ১৩১ রান করেন ১৬টি চার ও ৫টি ছক্কার সৌজন্যে। ইশান কিষান ৪৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ওপেনিং জুটি ছিল ১৫৬ রানের। 

ওয়ানডেতে রোহিত শর্মার এটি ৩১তম সেঞ্চুরি। 

ভারতের ২টি উইকেট নেন রশিদ খান। রোহিত ও কিষানের উইকেটটি নেন তিনি। আফগানিস্তান বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি। 

শুভমান গিলের ডেঙ্গু । তিনি খেলতে পারছেন না। পাকিস্তান ম্যাচে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল। 

এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডে বিশ^কাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭টি সেঞ্চুরির বিশ^রেকর্ড গড়েন রোহিত।
হাশমতুল্লাহ শাহিদি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইর জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রান করেছিলো আফগানিস্তান। শাহিদি ৮০ ও ওমারজাই ৬২ রান করেন। জবাবে রোহিতের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৯০ বল বাকী রেখেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।
নয়া দিল্লিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক শাহিদি। আফগানিস্তানকে ৪০ বলে ৩২ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ৪টি চারে ২২ রান করা ইব্রাহিমকে শিকার করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বুমরাহ।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ যলে ৩১ রান যোগ করে আফগানিস্তানের রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ ও রহমত শাহ। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ রান করে  হার্ডিক পান্ডিয়ার শিকার হন গুরবাজ। ৩টি চারে ১৬ রানে আউট হন রহমত।
৬৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর সেঞ্চুরির জুটি গড়েন শাহিদি ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ভারতীয় বোলারদের স্বাচ্ছেন্দ্যে সামলে ৩১তম ওভারে দলের রান দেড়শ পার করে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তারা। ওমরজাই ৬২ বলে এবং শাহিদি ৫৮ বলে ১৭তম ওয়ানডে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
৩৫তম ওভারে পান্ডিয়ার শিকার হওয়ার আগে  ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৯ বলে ৬২ রান করেন ওমারজাই। চতুর্থ উইকেটে ১২৮ বলে ১২১ রান যোগ করেন শাহিদি ও ওমারজাই। বিশ^কাপের মঞ্চে এই দ্বিতীয়বার সেঞ্চুরির জুটি গড়লো আফগানরা। বিশ^কাপে যেকোন উইকেটে এটিই দলটির  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি ।
হাফ-সেঞ্চুরির পরও ইনিংস বড় করতে থাকা  শাহিদিকে ৪৩তম ওভারে লেগ বিফোর আউট করেন স্পিনার কুলদীপ। ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮০ রান করেন শাহিদি।
দলীয় ২২৫ রানে শাহিদি ফেরার পর আফগানিস্তান লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। মোহাম্মদ নবির ১৯, রশিদ খানের ১২ বলে ১৬, মুজিব উর রহমানের ১২ বলে অপরাজিত ১০ এবং নাভিন উল হকের ৮ বলে অপরাজিত ৯ রানের উপর ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।

 

Link copied!