চুমুকাণ্ডে অবশেষে পদত্যাগ স্পেনের ফুটবল প্রধানের

স্পোর্টস ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম

চুমুকাণ্ডে অবশেষে পদত্যাগ স্পেনের ফুটবল প্রধানের

সংগৃহীত ছবি

গত ২০ আগস্ট ১-০ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে নারী ফুটবল-২০২৩ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। জয়ের আতিশয্যেই জেনিফার হারমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বসেন স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় দুজনের চুম্বনদৃশ্য। বির্তকের ঝড় ওঠে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

তখন থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েন লুইস। এই ঘটনায় প্রতিবাদে ফুটবল ছাড়ারও ঘোষণা দেন নারী ফুটবলাররা। ফিফার থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞাও পান লুইস। 

ফুটবলারদের সংগঠন ফুটপ্রোর মাধ্যমে হারমোসো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘ছবিতে আপনারা যা দেখছেন, সেই ব্যাপারে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই। তিনি যে চুমু দিয়েছেন, তাতে আমার কোনো সম্মতি ছিল না। আমার কথা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে কিছুতেই তা সহ্য করব না।’

হারমোসোর বিবৃতির সাথে একমত পোষণ করেন স্পেনের বিশ্বজয়ী ২৩ ফুটবলার। রুবিয়ালেস দায়িত্বে যতদিন থাকবেন, ততদিন তারা জাতীয় দলে ফিরবেন না। তাঁদের সাথে আরও সাবেক ৫৮ ফুটবলারও জাতীয় দল বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। এরপর রুবিয়ালেসের মা প্রতিবাদ অনশনে নেমেছিলেন। এমনকি স্পেনের বিশ্বজয়ী নারী ফুটবল দলের কোচ হোর্হে ভিলদাকে বরখাস্ত করা হয়।

পরে গত মঙ্গলবার রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের মামলা করেন হারমোসো।

ফুটবল বিশ্বজুড়ে সমালোচনা, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, মামলা সব মিলিয়ে বেশ ঝড় বয়ে যাচ্ছিল লুইসের ওপর দিয়ে। অবশেষে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন স্প্যানিশ ফুটবল প্রধান।

পিয়ার্স মরগানের টিভি শোতে রুবিয়ালেস বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারছি না। ফিফার থেকে নিষেধাজ্ঞার পর আমার বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তাতেই বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার জায়গায় আমি ফিরতে পারব না। জেদ করে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে রাখলে ভালো কিছু হয় না। সেটা ফেডারেশন হোক বা স্প্যানিশ ফুটবল। একের পর এক মিথ্যাচারের ঘটনায় আমার মেয়েরা, পরিবার অনেক ভুগেছে। তবে এটাও সত্যি যে সত্য একদিন প্রকাশ হবেই।’ 

Link copied!