নতুন করে কোন দাবার চাল হবে না যে বোর্ডে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৬, ২০২৪, ০৮:২৬ এএম

নতুন করে কোন দাবার চাল হবে না যে বোর্ডে

গ্রান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের শেষ বোর্ড। ছবি : দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তৃতীয় তলায় পরে আছে দাবার বোর্ড। টাইমার থেকে শুরু করে পানির বোতলও সরেনি একটু। অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় রয়েছে সাদা ঘুটির। তবে এই দাবার বোর্ডে হবেনা নতুন কোন চাল। কেননা শুক্রবার রাতেই এই বোর্ডেই খেলার সময় লুটিয়ে পড়েন গ্রান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান খেলছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে। বেলা ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলতে খেলতেই ৫টা ৫২ মিনিটে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান তিনি।

দাবার বোর্ড নিয়ে গ্রান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব বলেন, খেলায় জিয়া ভাই ভাল পজিশনে ছিল। অনেকদিন ধরে আমি কিংস ইন্ডিয়ান খেলি না। সে সময় জিয়া ভাই একটি শক্ত চাল দিয়েছে। যে চাল আমি সচারাচর দেখি নাই। তখনই সেই চাল নিয়ে অনেকটা চিন্তা করতে করতে দাবার বোর্ডের দিকে মনোযোগী ছিলাম। তখনই জিয়া ভাই পড়ে যান।

বাংলাদেশে দাবাড়ুদের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে আক্ষেপ করে এই গ্রান্ডমাস্টার বলেন, বর্তমানে সব গ্রান্ডমাস্টারই বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। কাগজে কলমে হয়তো কেউ অবসর নেয় নি। কিন্তু বাস্তবে কেউ তেমন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে না। মূলত আমরা অনেকেই এখন প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছি। তাই একই সাথে খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকদের কাজ করাটা জটিল।

উল্লেখ্য শুক্রবার প্রতিযোগীতার সময় গ্রান্ডমাস্টার জিয়া লুটিয়ে পড়লে এনামুল হোসেনসহ প্রতিপক্ষসহ আরও অনেকেই এগিয়ে এসে তকে তুলে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দাবা ফেডারেশন থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে ৯ মিনিট সময় লাগে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুতই তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন।

দাবা ফেডারেশনের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকেরা তাঁর পালস খুঁজে পাননি। পরে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা গেছেন জিয়া। ১৯৭৪ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া এই গ্র্যান্ডমাস্টারের মৃত্যুসনদ চিকিৎসকেরা দিয়েছেন ৭টা ২০ মিনিটের দিকে। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

Link copied!