ক্লাব ফুটবলে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে সব ট্রফি। জিতেছেন ব্যক্তিগত পুরস্কার। তবে দেশের জার্সিতে এখনও ট্রফির ভাণ্ডার শূন্যই রয়েছে লিওনেল মেসির। দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে চারটি ফাইনাল খেললেও, প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। যার মধ্যে তিনবার (২০০৭, ২০১৫ ও ২০১৬) কোপা আমেরিকা ও একবার বিশ্বকাপে (২০১৪)। সেই ব্যর্থতার ধারা থেকে এবার বেরতে মরিয়া এলএমটেন। আগামীকাল হবে মেসির পঞ্চম ফাইনাল। এবারো খালি হাতে ফিরবেন? নাকি ফাইনাল হারের শাপমোচন ঘটবে? সম্ভবত ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের পর তিনি আর খেলবেন না।
সেমি-ফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে টাই-ব্রেকারে জয়ের পর আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন মেসি। পায়ে আঘাত নিয়েও শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে লিও জানান, ‘এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য দেশের জার্সিতে ট্রফি জেতা। এর আগে চারবার ফাইনালে পৌঁছেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। কষ্টটা প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়িয়েছি। এবার আর তার পুনরাবৃত্তি চাই না। চলতি কোপায় আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে পৌঁছান। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি। এবার কাপ ঘরে তোলাই লক্ষ্য।’
সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে কিছুটা হলেও এগিয়ে মেসির আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের প্রাক্তন গোলরক্ষক হোসে লুইস চিলাভার্টও তেমনটাই মনে করছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম খেতাব জয়ের দাবিদার হিসেবে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। তবে শুধু ব্রাজিল কিংবা নেইমার নয়, ভার এবং রেফারির বিরুদ্ধেও লড়াইটা জিততে হবে মেসিদের। কারণ, দু’বছর আগে আমরা দেখেছিলাম, কীভাবে ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে খেতাব তুলে দেওয়ার জন্য তাদেরকে টেনে খেলানো হয়েছিল। এবার অবশ্য ওদের পক্ষে এই আর্জেন্তিনাকে হারানো সহজ হবে না। আমি চাইব, ফাইনালে মেসির গোলেই শেষ হাসি হাসুক স্কালোনি-ব্রিগেড।’
প্রাক্তনরা আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখলেও, খুব একটা পিছিয়ে নেই নেইমরারা। দু’বছর আগে চোটের জন্য টুর্নামেন্টে খেলতে পারেননি তিনি। তবে মাঠের বাইরে থেকেই দলের জয় উপভোগ করেছিলেন। এবার সতীর্থদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দশম কোপা আমেরিকা খেতাব ঘরে তুলতে বদ্ধপরিকর ব্রাজিলের এই তারকা। নেইমারের কথায়, ‘দু’বছর আগে আমি খেলতে পারিনি ঠিকই, তবে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও আমরা খেতাব জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর্জেন্তিনা দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। আর মেসির কাছে এই ট্রফি কতটা মহার্ঘ, তা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। তবে এবারও ফাইনালটা ওর কাছে সুখকর হবে না।’