মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ৪৩ রানে হারিয়ে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতল রংপুর শিশু নিকেতন হাই স্কুল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও রশীদ। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু, বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু, সাবেক দুই ক্রিকেটার হাবিবুল বাশার সুমন ও হাসিবুল হোসেন শান্ত।
নারায়ণগঞ্জ শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রংপুর শিশু নিকেতন ৩৭.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ১০২ রান করে। আহেমেদ তেজান কাব্বা বিশেষ সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। উইকেট রক্ষক সাদ ২৪ রান করেন। মেহেরপুরের আরাফাত আমান রাইয়ান ৯ রানে ৪ উইকেট নেন। সোহানুর রহমান ও সোহান আবেদীন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
১০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় মেহেরপুর। শুরুর এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। রংপুরের লেগ স্পিনার সাইখ ইমতিয়াজ শিহাব ৫ ওভারে ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে ধসিয়ে দেন। শেষপর্যন্ত ২০.২ ওভারে ৪৩ রানে অলআউট হয় মেহেরপুরের দলটি।
‘জাতি গঠনের ভাল প্লাটফর্ম হতে পারে ক্রিকেট। এ কারণেই আমরা খেলাটিতে বিনিয়োগ করছি। আজকের যারা স্কুল ক্রিকেট খেলছেন, আমরা চাই তাদের মধ্যে থেকে একজন প্রতিভাবানও যাতে অর্থাভাবে ঝড়ে না যায়। এ জন্য আমরা স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছি’- ম্যাচের পর বলছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও রশীদ।
নিজেদের কিছু ভুলকেই হারের কারণ হিসেবে দাঁড় করালেন মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অধিনায়ক ইশতিয়াক আহমেদ জিহান, ‘আমরা ম্যাচের শুরু থেকেই কিছু ভুল করেছি। প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর দ্রুতই কয়েকজন ব্যাটসম্যান ফিরে আসেন। এটি ছিল আমাদের হারের প্রধান কারণ।’
৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুর অধিনায়ক সাইখ ইমতিয়াজ শিহাব। ৩৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারও তিনি। সঙ্গে ছিল দেড় শতাধিক রান। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন প্রতিভাবান এ ক্রিকেটার। বাড্ডা আলাতুন নেসা স্কুলের মাফরাফ মাহিন রুদ্র ৩৮৩ রান করে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন।
ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক সাইখ ইমতিয়াজ শিহাব বলেছেন, ‘দুই বছর আগে আমরা স্কুল ক্রিকেটের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছি। তখন থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে আসছিলাম। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই কোচ নাসির আহমেদ আকাশ স্যার বলে আসছেন- তোমরা নিজেদের সেরাটা দেয়ার প্রতি মনোযোগি হও, বাকিটা এমনি আসবে। আমরা সে চেষ্টাই করেছি। আজকের সাফল্য আমাদের পরিশ্রমের ফসল।’