সতীর্থ খেলোয়াড়দের ‘আনফলো’ করে দিচ্ছেন অভিমানি বেনজেমা!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৩, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম

সতীর্থ খেলোয়াড়দের ‘আনফলো’ করে দিচ্ছেন অভিমানি বেনজেমা!

ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা খবরের পর খবর হয়ে চলেছেন। বিশ্বকাপে ফিট হয়েও দলে ফেরা হয়নি তাঁর! কোচ দিদিয়ের দেশমের সাথে করিম বেনজেমার দূরত্বই এ জন্য দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। কোচের সাথে দা-কুমড়ো সম্পর্ক এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ থেকে আগেভাগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া এবং সুযোগ থাকলেও ফাইনালের জন্য না ডাকায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন বেনজেমা। যার জেরে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর দিন জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণাও দিয়েছেন।

বিশ্বকাপে খেলতে পারলে ফ্রান্স জিতেও যেতে পারতো, এমন আক্ষেপই হয়তো পোড়াচ্ছে বেনজেমাকে। এই আক্ষেপের কারণে শুধু ফ্রান্স দলের কোচের সাথেই নয়, সতীর্থদের সাথেও বেনজেমার দূরত্ব তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন অভিমানি বেনজেমা।

মাদ্রিদভিত্তিক ক্রীড়া দৈনিক মার্কা জানাচ্ছে, বেনজেমার আনফলো তালিকায় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ অরেলিঁয়ে চুয়ামেনিও। কয়েকটি ইউরোপীয় গণমাধ্যমের হিসাবে, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলে থাকা ২৬ জনের ১৫ জনকেই ‘আনফলো’ করেছেন বেনজেমা।

তবে কিলিয়ান এমবাপ্পে, মার্কোস থুরাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা এবং রাফায়েল ভারানরা ‘ফলোয়িং’ তালিকায় আছেন। বেনজেমার সাথে ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদে একসা খেলেন চুয়ামেনি ও কামাভিঙ্গা। এর মধ্যে চুয়ামেনিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেক রিয়াল সমর্থক।

কয়েক ঘণ্টা পর চুয়ামেনি আবার ‘ফলোয়িং’ তালিকায় ফিরেন। ধারণা করা হচ্ছে, চুয়ামেনিকে ‘আনফলো’ রাখলে ক্লাব ফুটবলে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেই হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন বেনজেমা।

কেউ কেউ অবশ্য বেনজেমার এই ‘আনফলো মিশনে’ ইনস্টাগ্রাম হ্যাক হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে এটি প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না আরেকটি ভিডিও সামনে আসায়। ছয় বছর বিরতির পর বেনজেমা ফ্রান্স দলে ফিরেন গত বছরের ইউরোয়। ওই সময়ের একটি ভিডিওতে বেনজেমা দলে ফেরায় উগো লরিস ও আঁতোয়ান গ্রিজমানদের অস্বস্তিতে থাকতে দেখা যায়। গুঞ্জন আছে, কাতার বিশ্বকাপেও বেনজেমাকে স্বাগত জানাতে পারেননি অনেকে।

বেনজেমাকে বিশ্বকাপ শুরুর এক দিন আগে কাতার থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার নেপথ্য ঘটনার খবর প্রকাশ করেছে ডায়রিও এএস। খবরে বলা হয়, বেনজেমার ফিটনেস নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন ফ্রান্স কোচ। তাঁর মনে হয়েছিল, শতভাগ সুস্থ না হলেও সেটি আড়াল করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা নিয়েছিলেন বেনজেমা। যা ফ্রান্স দলের অনুশীলনে ধরা পড়ে যায়।

এরপর বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন বেনজেমা আবারও মাসলের চোটে পড়লে তাঁকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দেশম। যদিও সেই চোট গুরুতর না হওয়ায় সপ্তাহ দু-একের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন বেনজেমা।

কোচের ওপর বেনজেমার অসন্তুষ্টি আরও বাড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের সময়। বেনজেমাকে ফাইনালে ডেকে আনা হবে কিনা— এক সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করেন দেশম। বুঝিয়ে দেন ডাকার কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।

Link copied!