টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের করা ৮৪ রান টপকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সূচনাটা ভাল হয়নি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রেজা হেনরিক্স। পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৮ রানে প্রোটিয় আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে আউট করেন মেহেদি হাসান। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৫ বলে ১৬ রান করার সুযোগ পান এ তারকা ওপেনার।
এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দারুন লজ্জার একটি স্কোর দেখেছে বাংলাদেশ। এক ওভার ৪ বল হাতে রেখেই ৮৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে বাংলাদেশের। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন দলের ছয় ব্যাটসম্যান।
দুই ওপেনার নাইম শেখ ও লিটন দাস ঠিকঠাক মতো এগিয়ে যাচ্ছিলো। দলীয় ২২ রানে কাগিসো রাবাদার বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন নাইম (৯)। উইকেটে এসেই শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন সৌম্য সরকার। অভিজ্ঞ মুশফিকও রানের খাতা খোলার আগেই রাবাদার বলে সৌম্যর পথ ধরেন। ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৮ রান।
বাংলাদেশ দলের কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে এসে থিতু হতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন মাত্র ৩ রানে। দলের হয়ে তৃতীয় শূণ্য রান করেন আফিফ হোসেন। এরপর বলার মতো স্কোর ২৭ রান করেন শেখ মেহেদী। বল হাতে প্রোটিয়াদের নজর কাড়ে কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নর্কিয়া। দুজনই পান তিনটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৮.২ ওভারে ৮৪/১০ রান (মেহেদি হাসান ২৭, লিটন দাস ২৪, শামিম হোসেন ১১; কাগিসো রাবাদা ৩/২০, আনরিচ নর্টজে ৩/৮, তাবরিজ শামসি ২/২১)।