ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পন বাংলাদেশের। ব্যাটিং অথবা বোলিং, কোনটাই ঠিক মত হয়নি। ফলে ৮ উইকেটে হারতে হলো বাংলাদেশকে। শ্রীলংকার ম্যাচে তাও ব্যাটিংটা হয়েছিল ভাল। ইংল্যান্ডের ম্যাচে সেটাও হলো না। ইংল্যান্ডের শক্তির কাছে পেরে উঠল না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে ভূতের মত ভয় পাওয়া বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ড ১৪.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে (১২৬/২)। ৩৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয়। ইংল্যান্ড কোনো সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট নিয়েছিল। আর ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ইংল্যান্ড েপাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। অনায়াস জয় তুলে নিয়ে ইংলিশরা এখন সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখছে। প্রথম ম্যাচে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৫ রানে অলআউট করার পর ৬ উইকেটে যেতে। আর কাল আরো বিশাল ব্যবধানে জয় তাদের। বাংলাদেশ শ্রীলংকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে। আর এবার আরো ব্যবধানে হার। বিশ্বকাপ মিশন শেষের পথে টাইগারদের। ২৯ অক্টোবর শারজায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচ হারলে সেমিফাইনালের আশা শেষ।
ইংল্যান্ডের ওপেনার জেসন রয় ৩৮ বলে ৬১ রান করেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার বিনিময়ে। জস বাটলার ১৮ রানে ফেরেন। মালান ও রয় ৭৩ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। শরিফুল ও নাসুম ১টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন মুশফিকুর রহিম। ২৯ রানে ফেরেন। ওপেনিং জুটি আবার হতাশ করেছেন। লিটন ৯ ও নাইম ৫ রানে শেষ। যদিও আগের ম্যাচে নাইম ফিফটি মেরেছিলেন লঙ্কানদের বিপক্ষে। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ও নাসুম সমান ১৯ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সাকিব ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ। ৪ রানেই আউট তিনি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পারফরমার তিনি। তিনি ফিরে গেলে হতাশায় ডুবে যায় বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের টাইমাল মিলস ৩টি উইকেট লাভ করেন। ২টি করে উইকেট মাইন ও লিভিংস্টোনের।