সামনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভাল করবে ডমিঙ্গো

ক্রীড়া ডেস্ক

নভেম্বর ২, ২০২১, ০২:৪৬ এএম

সামনের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভাল করবে ডমিঙ্গো

 

জয়ের খাতা খুলতে হবে

আমরা তো সব ম্যাচই জিততে চাই, জানি যে জয়ের তাড়নাটা অনেক সেই সঙ্গে হারলে হাতাশাটাও অনেক। আমাদের ফোকাসটা হল ওই প্রকিয়ায়, যে পথে এগিয়ে আমরা জয়টা পেতে পারি। আমরা সবাই জেতার চেষ্টা করছি কিন্তু যখন এটা নিয়েই ভাবি তখন কি করা লাগবে তা অনেক সময় গুলিয়ে যায়। আমাদের ওই ব্যাপারটা হচ্ছে। আমাদের স্কিল ও প্রসেসের ওপর নজর দিতে হবে। কালকের (আজ) ম্যাচে সেই কাজটা করলে হয়ত ফল আমাদের দিকে আসবে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে। এখন আমাদের সামনে এই রেকর্ডটা সমৃদ্ধ করার সুযোগ আছে। সামনের দুটি ম্যাচ জিতে আমরা তা করতে পারি। ভবিষ্যতের জন্য এটা অনেক বড় পদক্ষেপ হবে। 

 

কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল

আমরা তিন সাবেক চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলেছি। তিন দলই কঠিন প্রতিপক্ষ। তার দুটি ম্যাচে ৮০-৯০ ভাগ পর্যন্ত সময় আমরা এগিয়েছিলাম। আমাদের এই ইতিবাচক দিকগুলোতে নজর দিতে হবে। শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজকে আমরা চাপে রেখেছি। উইন্ডিজের সঙ্গে ব্যাটে এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত চাপের মুহুর্তে ভাল করতে পারিনি। আমাদের প্রথমে এই ম্যাচগুলোর ইতিবাচক দিকগুলোতে তাকাতে হবে এরপর ভুলগুলো কমাতে হবে।

 

লিটনের মিডলে খেলা

আমরা এটা নিয়ে ভেবেছিলাম, কিন্তু সাকিব, মুশফিক, রিয়াদ যখন আছে লিটনকে মিডলে খেলানো কঠিন এছাড়া আফিফ আছে যে এই পজিশনে খুব ভাল করছে। ওকে নিচে নামানো বিশৃঙ্খল হয়ে যায়। লিটনও বলবে যে টপ-অর্ডারই তার পছন্দের জায়গা। লিটনের ব্যাটিং আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক, ও ভাল অপশন।  

আমরা এখানে দুজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়ে এসেছে, দুজন বাড়তি পেসার নিয়ে এসেছি, একজন অফস্পিনার ও দুজন উইকেটরক্ষক নিয়ে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি শেষ দুই ম্যাচের জন্য আমাদের যথেষ্ট ব্যাকআপ আছে। এর চেয়ে বেশি ব্যাকআপ এর প্রয়োজন নেই। 

 

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ

আমরা জানি আমাদের যোগ্যতা থেকে আমরা অনেকটা দূরে এখনও। কিন্তু তা রাতারাতি হবে না। এর জন্য সময় চাই। এটা একটা প্রক্রিয়া, আর এক বছরের মধ্যে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে (২০২২ অস্ট্রেলিয়ায়)। যদি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোয় আমরা ওই আসরে আরও ভালো অবস্থায় থাকবো।

 

ভরসা রাখতে বললেন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফলটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত এক বছরে আমরা টি-টোয়েন্টিতে বেশ কিছু জয় পেয়েছি, বড় সিরিজ জয় পেয়েছি। এখন সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিপক্ষে মাত্র দুটি অল্প ব্যবধানের হারে দলকে যাচাই করা অনুচিত ও কঠোর সিদ্ধান্ত হবে। আমি মনে করি দল সামনের দিকে বড় পদক্ষেপ রেখেছে। আমাদের খুব ভাল কিছু তরুণ ক্রিকেটার উঠে এসেছে। তারা বড় দলের বিপক্ষে বড় পারফরম করেছে। আমার চোখে এখনও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। সঙ্গে এটাও জানি যে অনেক নেতিবাচক দিকও আছে। নির্দিষ্ট ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফদের কিছু কাজে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। তবুও আমি বলবো দল বিশাল এগিয়েছে। ১১ মাস আগে আমরা ১১ নম্বর দল ছিলাম এখন আমরা টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং। আমরা জানি আমাদের যোগ্যতা থেকে আমরা অনেকটা দূরে এখনও কিন্তু তা রাতারাতি হবে না এর জন্য সময় চাই। এটা একটা প্রসেস, আর এক বছরের মধ্যে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক আগায় আমরা ওই আসরে আরও ভালো অবস্থায় থাকবো।’

 

Link copied!