বছরের শুরু থেকেই ভাষার মাসের প্রথম দিন থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরুর অপেক্ষা থাকে। ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩। চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে। হাজারো বইপাগল মানুষের ভিড়ে মুখরিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন।
বিকেল তিনটায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান করবেন।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বাদে এবার ঠিক সময়ে ও মাসজুড়ে মেলার আয়োজন হচ্ছে। এ বছর বেড়েছে প্রকাশক ও স্টলের সংখ্যা। পরিবর্তন এসেছে মেলার সাজেও। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বাংলা একাডেমির মূল অংশেই
বইয়ের সব প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকছে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে আয়োজিত হচ্ছে বইমেলা। শিশুচত্বরটির এবার মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে রাখা হয়েছে।
৯০১টি স্টলে বইয়ের সমাহার নিয়ে থাকবে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। থাকছে ৩৮টি প্যাভিলিয়ন। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২ প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৮৯ প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লিটলম্যাগ চত্বরে ঠাঁই পেয়েছে ১৫৩টি স্টল।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অংশে থাকছে সব খাবারের দোকান, নামাজের স্থান, টয়লেট। মেলার ভিতরে কোনো খাবারের দোকান করতে দেওয়া হবে না।
ঠিকসময়ে মেলা শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কাগজের মূল্য বৃদ্ধি অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। প্রকাশকেরা জানিয়েছেন বাড়ছে বইয়ের মূল্য। তবে এ কারণে বই প্রকাশ ও বিক্রি কমবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। তবে দর্শক, ক্রেতা, পাঠকদের রাত সাড়ে ৮টার পর মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ছুটির দিন বইমেলা বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’।