ঢাকার মতো চট্টগ্রাম পর্বের শুরুতেও হারল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে বন্দর নগরীর দলটি।
টানা চতুর্থ ম্যাচে টস হারেন মেহেদী হাসান মিরাজ, আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানের সাদামাটা সংগ্রহ তোলে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। জবাবে ৭ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় খুলনা।
চার ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো শুরুতেই আউট হয়ে দলকে চাপে ফেলেন কেনার লুইস। জ্যামাইকান ওপেনার প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৬, মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে ২ ও এ ম্যাচে ১ রান করেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকা পর্বের শেষ ম্যাচে ১৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস।
উইল জ্যাকসকে নিয়ে দারুণভাবে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন আফিফ হোসেন। ২৩ বলে ২৮ রান করা জ্যাকসকে আউট করে ৫৭ রানের জুটি ভাঙ্গেন থিসারা পেরেরা। প্রথম বলকে লং-অন ও এক্সট্রা কাভারের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দারুণ শুরু করেন সাব্বির রহমান। শ্রীলংকান স্পিনার প্রসন্নকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ফরহাদ রেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দ্রুতই ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজও। উইকেটে এসে দারুণ রিভার্স শটে বাউন্ডারি মারা বেনি হাওয়েলও থিতু হতে পারেননি। স্লোয়ারে বিভ্রান্ত ইংলিশ অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন আফিফ হোসেন। শেষদিকে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে ১৪ বলে ২৭ রান যোগ করেন নাঈম ইসলাম। এ অলরাউন্ডারের ১৯ বলে ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন শরিফুল ইসলাম।
১৪ ওভারেই ৩৯ ডট বল করে খুলনা। ম্যাচে খুলনা টাইগার্স বোলাররা মোট ৪৯ ডট বল করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে বন্দর নগরীর দলটি। থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম, নাবিল সামাদ, মেহেদী হাসান, সিক্কুগে প্রসন্ন ও ফরহাদ রেজা।
দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই দলকে ব্রেক-থ্রু দেন বা হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার গুডলেংথ বল উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার; স্কয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ নেন বেনি হাওয়েল। অষ্টম ওভারে নাসুম আহমেদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে উইল জ্যাকসের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন রনি তালুকদার (১৭)। ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৮ রান করা আন্দ্রে ফ্লেচারকে উইল জ্যাকসের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রনি তালুকদারকে নিয়ে ৪০ বলে ৫০ রান তোলা ফ্লোচর মুশফিকুর রহিমের সাথে ৪৬ রানের জুটি গড়েন এ ক্যারিয়ান। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে ৪৪ ও প্রসন্ন ১৫ বলে ২৩ রান করে ৭ বল হাতে রেখে খুলনার জয় নিশ্চিত করেন। চ্যালেঞ্জার্সের মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ২৪ রান। একটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৫৮ রান করা আন্দ্রে ফ্লেচার।