চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারস ছাড়তে চান মিরাজ!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৪:২০ পিএম

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারস ছাড়তে চান মিরাজ!

মেহেদি হাসান মিরাজের জায়গায় নাঈম ইসলামকে টস করতে দেখে খটকা লাগে। তখনি জানা যায়, মিরাজের পরিবর্তে নাঈম ইসলামকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে বলা হয়, পল নিক্সনের পর্যবেক্ষণে তাকে সরিয়ে নাঈমকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা আরও গুরুতর। ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে মিরাজের দ্বন্দ্ব এমন একটা পর্যায়ে গেছে যে তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযোগ জানাবে।

রবিবার বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়াসির আলম। তবে এটিও জানিয়েছেন, মিরাজকে নিয়ে তারা নেগেটিভিটি ছড়াতে চান না।

‘এটা আমরা এখন না বলি কারণ আমরা আশা করি এটা কোন সমস্যা না। না এটা আনুষ্ঠানিকভাবে বলব। মিরাজ একটা টপ ক্রিকেটার বাংলাদেশের। আমরা চাইনা তার ব্যাপারে নেগেটিভ কিছু না ছড়াতে। আমি যদি ওটা বলি তাহলে নেগেটিভ হয়ে যাবে।’

তবে মিরাজ যদি গণমাধ্যমে নেগেটিভ কিছু বলে থাকেন তাহলে তারা পুরো বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ডকে অবহিত করবেন। ‘মিরাজের বিবৃতি আমরা দেখতে চাই৷ সে কি বিবৃতি দিচ্ছে মিডিয়াতে আমরা দেখব আগে। আমরা তার ব্যাপারে পজিটিভ। কিন্তু সে নেগেটিভ হলে আমরা বিসিবির সাথে কথা বলব, আমরা দেখব তার ব্যাপারে।’

এদিকে মিরাজও জানেন না তাকে কেন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি এই ব্যাপারে ক্ষুদ্ধ। ‘আমাকে অধিনায়কত্ব থেকে কেন সরাল কিছুই বুঝলাম না। দল আমার আন্ডারে রেজাল্ট পেল। আমি নিজেও পারফর্ম করেছি। বাকিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে আছে। দল খুশি। কোচিং ম্যানেজমেন্ট খুশি। তাহলে কেন কিছু না বলেই এমন সিদ্ধান্ত। দুদিন পর তো পারফর্ম করলেও আমাকে দলে রাখা হবে না। এটা তো স্রেফ অপমান। আমি এখনো জাতীয় দলের ক্রিকেটার। দলের মালিক হয়েছে বলেই যা ইচ্ছে তা করতে পারে না। এখানে আমাদের নিজেদেরও চ্যালেঞ্জ থাকে। আমাকে সবার থেকে সেরা হতে হবে। জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে আবার ব্যাক করতে হবে। সেভাবেই আমাকে খেলতে হবে। কিন্তু এমন পরিবেশে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন।

ইয়াসির জানান, মায়ের অসুস্থতার কথা মিরাজ ইতিমধ্যে দলের ম্যানেজারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন তার মা অসুস্থ। তিনি ঢাকা যাবেন। টিম হোটেলে তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ আছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি তার মা’কে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে চিকিৎসার প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কথা চালাচালি চলছে।

বিপিএল শুরুর আগে মিরাজকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তার নেতৃত্বে ঢাকা পর্বে তিনটি ও চট্টগ্রামে একটি ম্যাচ খেলে। তার মধ্যে দুটিতে জয় আর দুটিতে হার।

নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাট-বল হাতে পারফর্মও করছিলেন মিরাজ। বল হাতে ৮ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৭০ রান। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাত্র ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।

Link copied!