মেহেদি হাসান মিরাজের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে তাসকিন আহমেদ ইস্যুতে উত্তাপ চট্টগ্রামে! পারিশ্রমিক নিয়ে তাসকিন এবং সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে দ্বন্দ্বের পর, বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সব কিছু মিটমাট হওয়ার পর মিরাজের মতো তাসকিনও জানালেন সবকিছুই ভুল বোঝাবুঝির কারনে হয়েছে।
তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে ৩৫ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। চুক্তি অনুযায়ি ৭০ শতাংশ টাকা আগে পরিশোধ করার নিয়ম। সেই অনুযায়িই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি টাকাও পরিশোধ করে। কিন্তু ৭০ ভাগ টাকা পরিশোধ করলেও তাসকিন বিপিএল চলাকালীন পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ চেয়ে বসেছেন। তাতেই তৈরি হয় সমস্যার।
তাসকিন দাবি পেমেন্টের সিস্টেম নাকি তারা জানা ছিলো না। যেহেতু সরাসরি চুক্তিতে তাসকিনকে দলে নেওয়া হয়েছে। এই কারনে তরুণ এই পেসার ভেবেছিলেন নিয়মটা তার জন্য ভিন্নরকম হবে! এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেছেন, ‘জয় ভাইয়ের( শেখ কুদরত ই ইবতিয়াজ জয়, সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক) সাথে আমার সাথে তেমন কিছুই হয়নি। কোন দ্বন্দ্ব বা অন্য কিছুই না। এটা পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। আমি আসলে ভেবেছিলাম আমার পারিশ্রমিক খেলার আগেই পরিশোধ হবে। আসলে একটা প্রক্রিয়া আছে। এই প্রক্রিয়া অনুযায়ি পরিশোধ হবে। এখানেই একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা আসলে কোন দ্বন্দ্বের বিষয় না।’
যোগাযোগের ঘাটতির বিষয়টি পরিষ্কার করতে গিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে বায়ো বাবলের কারনে মালিকপক্ষ অনেক সময় হোটেলে থাকেন না। জয় ভাই খুবই অমায়িক মানুষ। তার সাথে আমাদের সবার বোঝাপড়া অত্যন্ত ভালো। শুধু মাত্র যোগাযোগের ঘাটতির কারনে এমনটা হয়েছ। আমি ভাইয়াকে কয়েক বার ফোন করেছিলাম। হয়তো কোন কারনে মিস করেছে। আমার সাথে আমাদের দলের মালিকের কোন দ্বন্দ্ব নেই। উনি ব্যস্ত থাকায় রিপ্লাই দিতে দেরি করেছে। পরে আমার সাথে কথা হয়েছে, নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ি আমার সব কিছু পরিশোধ হবে।’
তাসকিন সরাসরি চুক্তি বদ্ধ হওয়াতে পেমেন্টের সিস্টেম নিয়ে ভুল ধারনা রেখেছিলেন। ওটাই মূলত সমস্যা তৈরি করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, আমি যেহেতু সরাসরি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই আমার পেমেন্ট পরিশোধ হবে। এটা আসলে আমি জানতাম না। সবকিছু ঠিকই আছে। আমাদের মধ্যে কোন বিবেধ হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কমিটি থেকেও বলা হয়েছে প্রসিডিউর অনুযায়ি টাকাটা আমি পাবো।’
একদিন আগে বিষয়টি নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছিলেন ‘একটা নির্দিষ্ট অঙ্কে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজির সরাসরি সাইনিং হয়েছিল। চুক্তির ৭০ ভাগ টাকা ফ্রাঞ্চাইজি দিয়েও দিয়েছে। ফ্রাঞ্চাইজি আজ (সোমবার) আমাদেরকে জানাল, ওই খেলোয়াড় এখনই পুরো টাকা চাচ্ছে। আমি নিজে মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ৭০ ভাগ টাকা পাওয়ার পরও ওই খেলোয়াড় চাপ দিচ্ছে। সে ফোন ধরেনি। খেলোয়াড় তাকে বলছে, পুরো টাকা না পেলে সে খেলবে না। যদিও বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’